প্রতীকী ছবি।
সপ্তাহ তিনেক আগে রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে ভারতের টিকা কোভ্যাক্সিনের সরবরাহ স্থগিত করে দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। টিকাটির কার্যকারিতা সম্পর্কে আশ্বস্ত করেও তারা জানিয়েছিল, কোভ্যাক্সিনের উৎপাদন কেন্দ্রগুলি উন্নত করতে এবং ওই ক্ষেত্রে কয়েকটি ঘাটতি মেটাতে বলা হয়েছে নির্মাতা সংস্থা ভারত বায়োটেককে। এ বার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক সরাসরি বলল, কোভ্যাক্সিনকে হু-র দেওয়া জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের ছাড়পত্র বাতিল হওয়ার মতো কোনও পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, তা দেখতে ভারত বায়োটেক অবিলম্বে পদক্ষেপ করুক।
কোভিডের টিকাকরণ সংক্রান্ত বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন গোষ্ঠীর আহ্বায়ক ভি কে পলকে পাঠানো একটি চিঠিতে বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, ‘‘ডিসিজিআই (ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ) এবং হু-র মাধ্যমে অবিলম্বে বিষয়টির নিষ্পত্তি করুক ভারত বায়োটেক। বর্তমান পরিস্থিতিতে জার্মানি বা ফ্রান্সের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশে কোভ্যাক্সিনের শংসাপত্রের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি ঘিরে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। কিছু দেশ এম-আরএনএ ভিত্তিক বুস্টার ডোজ়ই চাইছে। কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের স্বীকৃতির জন্য আমাদের প্রয়াস এর ফলে ধাক্কা খাচ্ছে।’’
প্রসঙ্গত, ফাইজ়ার বা মডার্নার টিকার মতো মেসেঞ্জার আরএনএ বা এম-আরএনএ ভিত্তিক টিকা নয় কোভ্যাক্সিন বা কোভিশিল্ড। বিদেশসচিব মনে করিয়ে দিয়েছেন, হংকংয়ের মতো দেশ বাচ্চাদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ওই ধরনের টিকার শংসাপত্রকেই গ্রাহ্য করছে। রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি এখনও হু-র তালিকায় না থাকায় ওই টিকা নিলে বিদেশ সফর করা মুশকিল হয়ে পড়ছে। ভারতে শিশু-কিশোরদের দেওয়ার জন্য বায়োলজিক্যাল-ই-র কোর্বেভ্যাক্স টিকা অনুমোদন পেয়েছে। ওই টিকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জোগাড়ের প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়টিতেও জোর দিয়েছেন বিদেশসচিব। বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন গোষ্ঠীর একটি বৈঠক ডাকার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
বায়োলজিক্যাল-ই মঙ্গলবার জানায়, ৫-১২ বছর বয়সি শিশুদের জন্য কোর্বেভ্যাক্সকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে ডিসিজিআই। তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া আজ জানান, ওই বয়সের বাচ্চাদের টিকাকরণ শুরুর বিষয়টি নিয়ে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজ়রি গ্রুপ অন ইমিউনাইজ়েশন (এনটিএজিআই)-এর মতামতের জন্য অপেক্ষা করবেন তাঁরা। আগামিকাল এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।