বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। — ফাইল চিত্র।
বিজেপি বিরোধী জোটের বৈঠক পিছিয়ে গেল। আগামী ১২ জুন পটনায় এই বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন জেডি (ইউ) সভাপতি তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সেই বৈঠকে যোগদান করবেন বলে সম্মতি জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার। এ ছাড়াও এই বৈঠকে হাজির থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল, শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে, সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব। বৈঠক হাজির থাকার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল কংগ্রেসও।
কিন্তু সোমবার জানা যায় এআইসিসি থেকে নীতীশের কাছে অনুরোধ এসেছে বৈঠকের দিন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য। কারণ প্রসঙ্গে এআইসিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের তরফে বিহারের বৈঠকে কে যাবেন, তা এখনও স্থির করা হয়নি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কে এই বৈঠকে কংগ্রেসের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন, তা ঠিক হয়ে যাবে। তার পরেই নীতীশকে বৈঠকের দিন ঠিক করতে অনুরোধ জানাবেন এআইসিসির প্রতিনিধিরা। কংগ্রেস ছাড়াও দক্ষিণের দল ডিএমকে-ও পৃথক ভাবে নীতীশের কাছে বৈঠক পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল। সেই মতো দুই বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েই বৈঠক পিছিয়ে দিয়েছেন নীতীশ।
অন্য রাজনৈতিক দলগুলিকেও বৈঠক পিছিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। জুন মাসে আবারও এই বৈঠকের দিন ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছে জেডি (ইউ)-এর একটি সূত্র। এই বৈঠকের আয়োজন করতে জেডি (ইউ)-এর সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে লালুপ্রসাদ যাদবের দল রাষ্ট্রীয় জনতা দল। তাদের নেতা তথা বিহার সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব এই কাজে নীতীশকে সহায়তা করছেন।
গত এপ্রিল মাসের ২৪ তারিখে পশ্চিমবঙ্গে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নীতীশ ও তেজস্বী সাক্ষাৎ করেছিলেন। তারপর লখনউতে সাক্ষাৎ করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশের সঙ্গেও, পরে ভুবনেশ্বর গিয়ে দেখা করেছিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে। কিন্তু নীতীশের উদ্যোগে তিনি শামিল হবেন না বলেই জানিয়েছিলেন। তাই নবীনকে বাদ রেখেই বাকি বিরোধীদের নিয়ে পটনায় বিরোধী দলগুলির বৈঠক ডেকেছিলেন নীতীশ। কিন্তু কংগ্রেস এবং ডিএমকের অনুরোধে সেই বৈঠক আপাতত কয়েক দিন পিছিয়ে গেল।