Kerala

কেরলের মৃত হাতির আঘাত বহু পুরনো

কেরল নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুরে প্রায় একই ধরনের ঘটনার খবর মিলেছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২০ ০৩:৪৬
Share:

প্রতীকী ছবি

বিস্ফোরক ঠাসা ফল খেয়ে ফেলে যে হাতির মৃত্যু ঘিরে দেশ জুড়ে বিস্তর চর্চা, তার আঘাত ছিল বেশ পুরনো। মৃত হাতির ময়না তদন্তে এই তথ্য উঠে আসার পরে এ বার মাথাচাড়া দিচ্ছে নতুন প্রশ্ন। এত দিন ধরে একটি হাতি আহত অবস্থায় রয়ে গেল, অথচ কারও চোখে পড়ল না? বিতর্কের মুখে জঙ্গলের কিনারা বরাবর এলাকায় বন ও আবগারি দফতরের যৌথ নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরল সরকার। এর মধ্যেই কেরলের হাতির মৃত্যু নিয়ে সিবিআই বা বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্তের দাবি তুলে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।

Advertisement

কেরল নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুরে প্রায় একই ধরনের ঘটনার খবর মিলেছে। সেখানে একটি গরুকে বিস্ফোরক ভরা ফল খাওয়ানোর পরে প্রাণীটির নীচের চোয়াল উড়ে গেছে। আহত গরুর ছবি দেখে শিউরে উঠেছে নেট-দুনিয়া। কেরলের ঘটনায় যে ভাবে সেখানকার সরকার এবং মানুষকে দুষে একদল লোক সরব হয়েছিলেন, তার মধ্যে রাজনীতির ছোঁয়া দেখেছিলেন অনেকেই। তাঁদের প্রশ্ন, বিজেপি শাসিত রাজ্যে গো-মাতাকে এ ভাবে মারার চেষ্টা হল কী করে?

কেরলের ঘটনায় বন দফতরে জমা পড়া ময়না তদন্ত রিপোর্টে পশু চিকিৎসক ডেভিড আব্রাহাম জানিয়েছেন, বিস্ফোরকের আঘাতে হাতিটির উপর ও নীচের চোয়াল ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল। সে টানা অনেক দিন কিছুই খেতে পারেনি। কুনকি হাতির তাড়ায় ভেলিয়ার নদীর জল ভেঙে পাড়ের দিকে যাওয়ার সময়ে দুর্বল, যন্ত্রণাকাতর শরীর নিয়ে পড়ে যায় হাতিটি। মৃত্যুর তাৎক্ষণিক কারণ তাই বেশি জল খেয়ে ফেলা। রিপোর্ট বলছে, হাতির ক্ষতে যে ধরনের পোকা ধরে গিয়েছিল, তা থেকে বোঝা যায় আঘাত ১৪-১৫ দিনের পুরনো। ক্ষতে রক্তের চিহ্নও ছিল না। রিপোর্ট পেয়ে মনে করা হচ্ছে, হাতিটির অবস্থান আরও আগে চিহ্নিত হলে হয়তো প্রাণে বাঁচানো যেত।

Advertisement

বিস্ফোরক রাখার ঘটনায় এক রবার চাষিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বন কর্তারা বলছেন, ফসল বাঁচানোর জন্য স্থানীয় চাষিরা ছাড়াও জঙ্গলঘেঁষা এলাকায় চোলাই মদের ঠেক ও গাঁজার চাষ রক্ষা করতে ওই চক্রের লোকজনও ফলের মধ্যে বিস্ফোরক ভরে রাখেন। মারাত্মক জখম একটি বুনো হাতি নজরের বাইরে এত দিন থেকে গেল কী ভাবে? প্রশ্নের মুখে এখন নড়েচড়ে বসছে সরকার।

আরও পড়ুন: পাওনা দিক আগে: ডেরেক

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement