—ফাইল চিত্র।
ট্রেন দেরিতে চলার জন্য ভুক্তভোগী এক যাত্রী মামলা করেছিলেন রেলের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় কনজিউমার আদালতের রায় গেল যাত্রীর পক্ষেই। আদালত নির্দেশ দিল, ট্রেন দেরিতে চলার জন্য ওই যাত্রীকে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আর সেই ক্ষতিপূরণ দেবে ভারতীয় রেলই।
২০১৮ সালের ৬মে মাসে ১৩ ঘণ্টা লেট করেছিল দক্ষিণ রেলওয়ের চেন্নাই আলেপ্পি এক্সপ্রেস। ওই ট্রেনে সফর করছিলেন চেন্নাইয়ের বাসিন্দা কার্তিক মোহন। এর্নাকুলাম থেকে চেন্নাইয়ে যাচ্ছিছিলেন তিনি তাঁর অফিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিতে। কিন্ত ট্রেন লেট করায় এবং সে ব্যাপারে আগে থেকে কোনও তথ্য না থাকায় তিনি সময়ে পৌঁছতে পারেননি। তাঁর দাবি, এর জেরে তাঁর কেরিয়ারের ভবিষ্যৎ চিরতরে বদলে যায়। চূড়ান্ত মানসিক পীড়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তাঁকে। এই অভিযোগেই দক্ষিণ রেলওয়ের বিরুদ্ধে এর্নাকুলামের গ্রাহক সমস্যা সংক্রান্ত আদালতে মামলা করেন কার্তিক। যার রায় বেরলো দীর্ঘ পাঁচ বছর পর।
এর্নাকুলামের গ্রাহক সংক্রান্ত আদালত জানিয়েছে, ভারতীয় রেলকে ওই ব্যক্তিকে ৬০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। একই সঙ্গে গ্রাহক আদালতের পর্যবেক্ষণ রেলের তরফে পরিষেবাগত গাফিলতি তো ছিলই তা ছাড়া রেল তার প্রেক্ষিতে পরবর্তী পদক্ষেপও করেছে অত্যন্ত উদাসীন ভাবে। ট্রেনের দেরির কথা আগে থেকে জানানো হয়নি যাত্রীদের। ১৩ ঘণ্টা দেরির পরও যাত্রীদের পৌঁছে দেওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা করেনি রেল।
কার্তিক মোহন আদালতকে জানিয়েছিলেন, সেদিনের দেরির জন্য একা তিনি ভুক্তভোগী হননি। অনেকেই সেদিন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাও দিতে যাচ্ছিলেন ওই ট্রেনে। কার্তিক নিজে তাঁর পরীক্ষার সময়ের যথেষ্ট আগে সময় হিসাব করে টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু ট্রেন ১৩ ঘণ্টা লেট করায় এবং সে বিষয়ে কোনও আগাম খবর না থাকায় তাঁর এবং তাঁর মতো অনেকেরই জীবনে গুরুত্বপূর্ণ দিনে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।
গ্রাহক আদালত তার রায়ে জানিয়েছে, ট্রেন দেরিতে চলায় যাত্রীকে যে মানসিক পীড়া, শারীরিক সমস্যা এবং আর্থিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তার জন্য ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। আর এ সংক্রান্ত মামলাটি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার খরচ বাবদ আরও ১০ হাজার টাকা দিতে হবে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষকে।