দলীয় প্রধানের অনুপস্থিতিতেই ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে দল। ফাইল চিত্র
কেন্দ্রের সঙ্গে এ বার আইনি সঙ্ঘাতের রাস্তায় হাঁটতে চাইছে ওমর আবদুল্লার দল ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ এবং একইসঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর ভাগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেল তারা। কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্ত ‘বেআইনি’ বলে দাবি করে শনিবার শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছে এনসি।
ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রধান জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এই মুহূর্তে উপত্যকার অসংখ্য নেতার মতোই পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। তাঁকে কোথায় রাখা হয়েছে সে বিষয়েও তুমুল গোপনীয়তা বজায় রেখেছে প্রশাসন। দলীয় প্রধানের অনুপস্থিতিতেই ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করার পথ বেছে নিয়েছে এনসি বিধায়ক আকবর লোন ও হাসনাইন মাসুদি।
আরও পড়ুন: ছররার আঘাতে অন্য কাশ্মীর-কথা
আরও পড়ুন: জম্মুতে উঠল ১৪৪ ধারা, স্কুল খুলল সাম্বা-কাঠুয়ায়, বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভ ‘শান্তির’ কাশ্মীরে
কাশ্মিরী নেতারা বিরোধিতা করলেও জম্মু-কাশ্মীর থেকে লাদাখকে পৃথক করার সিদ্ধান্তকে স্বাগতই জানিয়েছেন লাদাখের বিজেপি সাংসদ জামাঙ্গ সেরিঙ্গ নামগল। ৩৭০ ধারা রদ নিয়ে লোকসভায় তাঁর বক্তব্য তুমুল প্রশংসিত হয় বিজেপির অন্দরমহলে। তিনি সরাসরি তোপ দেগে বলেছিলেন, ‘‘লাদাখ যদি আজ অনগ্রসর হয় তাঁর দায় এই ৩৭০ ধারা ও জাতীয় কংগ্রেসের।’’ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয় সেই বক্তৃতা। তাঁর বক্তব্যের প্রশংসা করে টুইটও করেন নরেন্দ্র মোদী।
এই মুহূর্তে ন্যাশনাল কনফারেন্স কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে বিরোধিতার পথে হাঁটলেও উপত্যকা কিন্তু ছন্দে ফিরছে ধীরে ধীরে। শ্রীনগরে কার্ফু অনেকটাই শিথিল করা হয়েছে। সামনে ইদ, উপত্যকার বাসিন্দাদের ধর্মীয় ভাবাবেগ যাতে ক্ষুণ্ন না হয় তা দেখা কেন্দ্রের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রধানমন্ত্রী নিজের বক্তব্যে বৃহস্পতিবারই আশ্বস্ত করেছেন বাইরে থাকা কাশ্মীরিরা যাতে ইদের আগে ঘরে ফিরতে পারেন, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ করবে কেন্দ্র। তার পরেই শুরু হয়েছে ধাপে ধাপে কার্ফু শিথিল করার প্রক্রিয়া।
এদিন খুলেছে জম্মুর বাজার। ছবি: পিটিআই
এদিন শ্রীনগরের জেলাশাসক শহিদ চৌধুরী টুইটে যান চলাচলের বেশ কিছু ছবি টুইটারে শেয়ার করে জানান, শ্রীনগরে নিরাপত্তার কড়াকড়ি অনেকটাই শিথিল হয়েছে।সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে, ইদের মুখে শুক্রবারই প্রার্থনার জন্যে খুলে দেওয়া হয়েছে ডোগরা, জম্মু এলাকার নানা ইদগাহ। কাঠুয়া এবং সাম্বা জেলা থেকেও তুলে নেওয়া হয়েছে ১৪৪ ধারা।
দেখুন সেই টুইট:
খুলেছে বহু স্কুল কলেজ। তবে এই অবস্থাকেও বিরোধিতাশূন্য বলা যায় না। গত তিন দিনে ছর্রা বুলেটের আঘাত নিয়ে অন্তত ৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে দাবি সংবাদমাধ্যমের একটা বড় অংশের।