—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ভিআইপি এবং ভিভিআইপিদের সফরের খুঁটিনাটি তথ্য ফাঁস হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তাঁদের মতে, এতে নিরাপত্তা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। তাই এ বারে কয়েক দফা নির্দেশিকা জারি করেছে তারা। অন্যান্য রাজ্যের মতো সেই নির্দেশিকা এ রাজ্যের পুলিশের কাছেও এসে পৌঁছেছে। প্রশাসনের খবর, সেই নির্দেশিকায় সফরের তথ্য ফাঁস আটকাতে ব্যক্তিগত মেসেজ অ্যাপ ব্যবহার না-করতে বলা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া মারফত ওই ধরনের তথ্য লেনদেনেও রাশ টানতে বলা হয়েছে।
অতীতে নিরাপত্তার ফাঁক গলে হামলার শিকার হয়েছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তার মধ্যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর খুনের ঘটনাও আছে। সে সব ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তা নিয়ে বহু নিয়মকানুন চালু করা হয়েছে। মাঝেমধ্যেই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নানা খুঁটিনাটি বদলও করা হয়। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, সম্প্রতি দেখা গিয়েছে যে ভিআইপি এবং ভিভিআইপি নিরাপত্তাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সফরের নানা তথ্য সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। এ ভাবে তথ্য ছড়িয়ে পড়লে তা বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছে দিল্লি। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এ ভাবে তথ্য হাতিয়ে নিতে পারেও বলে আশঙ্কা করছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিরাপত্তা শাখার কর্তারা।
রাজ্য পুলিশ সূত্রের খবর, ভিআইপি এবং ভিভিআইপিদের সফরের আগে তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার মধ্যে বৈঠক হয়। সেখানে বিভিন্ন স্তরের পুলিশ অফিসারেরা থাকেন। সেই বৈঠকের তথ্য এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার খুঁটিনাটি কাজের প্রয়োজনেই আদানপ্রদান করতে হয়। সেই আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে কোনও রকম প্রাইভেট মেসেজ অ্যাপ বা সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার ঠেকাতে বলা হয়েছে। তা না-হলে সেই তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে। বাহিনীর উচ্চকর্তাদের নির্দেশ, বিষয়টির গুরুত্ব বাহিনীর অধস্তন সদস্যদেরও বোঝাতে হবে।
পুলিশ সূত্রের দাবি, শুধু ব্যক্তির নিরাপত্তা নয়, নিরাপত্তার জন্য বাহিনী কোথায় কোথায় মোতায়েন থাকছে সেই সংক্রান্ত তথ্যও সুরক্ষিত রাখতে হবে। ফোনেও উল্টো দিকে থাকা ব্যক্তির পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত না-হয়ে কোনও তথ্য দেওয়া যাবে না। বহু সময়েই শত্রু শিবিরের গুপ্তচরেরা নিরাপত্তা বাহিনী কিংবা গোয়েন্দাকর্তার পরিচয় ভাঁড়িয়ে এই কায়দায় তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বলেও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। নির্দেশিকায় সেই কথা তাঁরা উল্লেখও করেছেন।