—ফাইল চিত্র।
চল্লিশ দিন টানা শুনানির পরে শেষ হয়েছে অযোধ্যার বিতর্কিত জমির মামলার শুনানি। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বেরোতে পারে রায়। অযোধ্যায় মন্দির না কি মসজিদ— দেশ যখন তাকিয়ে সে দিকে, তখন লখনউয়ের আদালতে অন্য একটি মামলা চলছে ঢিমেতালে। বাবরি মসজিদ ধ্বংসে অভিযুক্তদের শাস্তির মামলা। আড়াই দশক পরে, এই মামলায় বেড়ে গিয়েছে অনেক জটিলতা।
২৭ বছর ধরে লখনউয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে চলছে বাবরি ধ্বংসের মামলা। বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনায় অভিযুক্ত লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর জোশীর মতো বিজেপি-আরএসএসের নেতারা। সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশ, আগামী জানুয়ারির মধ্যে শুনানি শেষ করে এপ্রিলের মধ্যে রায় ঘোষণা করতে হবে। তার জন্য বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদবের চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এই রায় ঘোষণা করেই তিনি অবসর নেবেন।
ওই মামলায় ৪৯ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১৭ জন মারা গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক সময়ের ডাকসাইটে নেতা অশোক সিঙ্ঘল, গিরিরাজ কিশোর। ৮৯৪ জন সাক্ষীর মধ্যেও ১৩৪ জন মৃত। অনেকের খোঁজ নেই। নিজের চোখে বাবরি মসজিদ গুড়িয়ে যেতে দেখা সাক্ষীদের অনেকেই অতি বৃদ্ধ কিংবা অসুস্থ। এজলাসে আসার ক্ষমতা নেই। এখন চলছে ওই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তদন্তকারী অফিসারদের সাক্ষ্য গ্রহণ-পর্ব। সমস্যা হল, তদন্তকারী অফিসারদের অধিকাংশই অবসরপ্রাপ্ত। অনেকে লখনউয়ের বাইরে থাকেন। অপেক্ষা চলে, কখন তাঁরা হাজির হবেন।
হাই প্রোফাইল অভিযুক্তদের মধ্যে আডবাণী, জোশী, কল্যাণ সিংহেরা জামিন পেয়েছেন। রাজস্থানের রাজ্যপাল থাকার মেয়াদ শেষ হতে গত ৯ সেপ্টেম্বর কল্যাণ বিজেপিতে যোগ দেন। তার পরে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। ব্যক্তিগত দু’লাখ টাকার বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়।