Nitin Gadkari

সিএজি রিপোর্ট নিয়ে কথা পিএসি-তে

সিএজি জানিয়েছিল, ভারতমালা পরিযোজনায় সড়ক করিডর তৈরিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ৩৪ হাজার কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ৫ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:০৯
Share:

নিতিন গডকড়ী। —ফাইল চিত্র।

সংসদে রিপোর্ট পেশ করে সিএজি নিতিন গডকড়ীর সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের ভারতমালা পরিযোজনার চড়া খরচের দিকে আঙুল তুলেছিল। সিএজি-র সেই রিপোর্ট নিয়ে আজ সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি(পিএসি)-তে আলোচনা হল। একইসঙ্গে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মোদী সরকারের যাবতীয় জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের বাস্তবে কতখানি কাজ হচ্ছে তা নিয়ে কমিটিতে আলোচনা হবে। ব্যাঙ্ক, বিমা ও জ্বালানি ক্ষেত্র নিয়েও আলোচনা হবে পিএসি-তে।

Advertisement

সিএজি জানিয়েছিল, ভারতমালা পরিযোজনায় সড়ক করিডর তৈরিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ৩৪ হাজার কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ৫ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু প্রায় ৮ লক্ষ ৪৬ হাজার কোটি টাকায় ২৬ হাজার কিলোমিটার সড়ক তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে। দিল্লির দ্বারকা থেকে গুরুগ্রামের মধ্যে দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ১৮ কোটি টাকা অনুমোদিত খরচের বদলে প্রতি কিলোমিটারে ২৫০ কোটি টাকা খরচের বরাত দেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, পিএসি-র বৈঠকে সিএজি-র তরফে রিপোর্টের খুঁটিনাটি তুলে ধরা হয়। লোকসভা থেকে অধীররঞ্জন চৌধুরীর ‘সাসপেনশন’ প্রত্যাহারের পরে কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনিই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক গডকড়ীর অধীনে। তাঁকে সরকারের মধ্যে কোণঠাসা করার চেষ্টা হচ্ছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। গডকড়ীর মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, সড়ক নির্মাণে চড়া খরচ নিয়ে সিএজি-র রিপোর্ট সঠিক নয়। বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে আজ বিজেপির কিছু সাংসদ সেই যুক্তি দেন। নিয়ম অনুযায়ী, সিএজি-র রিপোর্টের পরে মন্ত্রকের কাছে পরবর্তী পদক্ষেপ জানানোর ৩০ দিনের সময় থাকে। তার পরে সিএজি আরও ৩০ দিন ব্যাখ্যা চাওয়ার সময় পায়। এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেই সিএজি-র রিপোর্ট কমিটি খতিয়ে দেখবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement