কঙ্গনা রানাউত। —ফাইল ছবি।
বিতর্কিত মন্তব্যের জন্যই মূলত খবরে থাকেন হিমাচলের বিজেপি সাংসদ তথা অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। সেই স্বভাবের দৌলতেই বিজেপির ‘প্রিয়’ তালিকায় ঠাঁই, লোকসভা নির্বাচনের টিকিট এবং সাংসদ হওয়া। কঙ্গনাকে লোকসভায় তাঁর জন্য সহজতম আসনটি দিয়েছিল বিজেপি। তাঁর মাতৃভূমি মাণ্ডিতেই প্রার্থী করেছিল তাঁকে। জীবনে প্রথম ভোটে এমন আসন নেতৃত্বের নেকনজরে না থাকলে সচরাচর জোটে না। কিন্তু সেই কঙ্গনাই আপাতত বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের অস্বস্তির কারণ। কৃষক আন্দোলন নিয়ে তাঁর মন্তব্যের জেরে পদ্মশিবিরের উপরমহল থেকে কড়া নির্দেশ গিয়েছে কঙ্গনার কাছে। শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংযত হতে বলা হয়েছে মাণ্ডির সাংসদ অভিনেত্রীকে।
ঘটনার সূত্রপাত কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে কঙ্গনার একটি মন্তব্য থেকে। সমাজমাধ্যমের একটি পোস্টে কঙ্গনা লিখেছিলেন, ‘‘ভারতে কৃষক আন্দোলন বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিচক্ষণ সিদ্ধান্তের জন্যই তা হতে পারেনি।’’ ওই পোস্টে কঙ্গনা এ-ও লিখেছিলেন যে, ‘‘কৃষক আন্দোলন চলাকালীন ঝুলন্ত অবস্থায় বহু দেহ পাওয়া গিয়েছে। সেই সময় প্রচুর ধর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে।’’
সাংসদ অভিনেত্রীর ওই সমস্ত মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট বিবৃতি দিয়ে দূরত্ব রচনা করেছে বিজেপি। তারা জানিয়েছে, কঙ্গনার ওই বক্তব্য দলের বক্তব্য নয় কোনও ভাবেই। একইসঙ্গে বিজেপি একটি বিবৃতিতে লিখেছে, ‘‘দলের নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার দায়িত্ব দেওয়া হয়নি কঙ্গনাকে। তাঁকে সেই অনুমতিও দেওয়া হয়নি। বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে ভবিষ্যতে এই ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে।’’