Thane

Thane: ‘আপনার ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে যান’, ঠাণের এই শিক্ষককে ফোন করে বলল পুরনিগম!

চন্দ্রশেখর জীবিত থাকলেও পুরনিগমের রেকর্ডে তাঁকে করোনায় মৃত বলে উল্লেখ করা হয়। আর সেখানেই তৈরি হয় সমস্যা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ঠাণে শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২১ ১৯:০০
Share:

শিক্ষক চন্দ্রশেখর দেশাই।

জীবিত ব্যক্তিকে ফোন করে বলা হল তাঁর মৃত্যুর শংসাপত্র তৈরি, এসে যেন নিয়ে যান। পুরনিগম থেকে ফোনে এই বার্তা পাওয়ার পরই কেমন যেন ভেবলে গিয়েছিলেন শিক্ষক চন্দ্রশেখর দেশাই। তিনি যে জীবিত তা প্রমাণ করতেই তার পর পড়িমরি করে ছুটেছিলেন পুরনিগমে।

Advertisement

মুম্বইয়ের ঠাণের পুরনিগম এলাকার বাসিন্দা চন্দ্রশেখর। পেশায় এক জন শিক্ষক। ঘাটকোপারের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন তিনি। গত বছরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সুস্থ হয়ে উঠে রীতিমতো স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিলেন। কিন্তু চলতি সপ্তাহের শুরুতে পুরনিগম থেকে আসা একটি ফোন পেয়ে তাঁর মাথায় বজ্রাঘাতের মতো অবস্থা হয়েছে। চন্দ্রশেখর জীবিত থাকলেও পুরনিগমের রেকর্ডে তাঁকে করোনায় মৃত বলে উল্লেখ করা হয়। আর সেখানেই তৈরি হয় সমস্যা।

পুরনিগম থেকে এক আধিকারিক তাঁকে ফোন করে বলেন, ‘আপনার মৃত্যুর শংসাপত্র নিয়ে যান।’ কথাটা শুনেই চমকে উঠেছিলেন চন্দ্রশেখর। তিনি ফোনেই ওই ব্যক্তিকে বার বার বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি জীবিত এবং সুস্থও আছেন। চন্দ্রশেখর বলেন, “ওই ব্যক্তিকে বলি আমি জীবিত। কেন আপনি এ ধরনের কথা বলছেন। তখন ওই ব্যক্তি জানান, তাঁদের কাছে রেকর্ড রয়েছে যে চন্দ্রশেখর দেশাই মারা গিয়েছেন।”

Advertisement

এর পরই চন্দ্রশেখর বলেন, “ভাবুন তো, এই সংবাদ যদি আমার ৮০ বছরের বৃদ্ধা মা শুনত বা আমার স্ত্রী-র কাছে এ ধরনের ফোন আসত, তা হলে কী কাণ্ডটাই না হতো!”

যদিও পরে পুরনিগম থেকে বিষয়টি ভুল বলে মেনেও নিয়েছে। তাদের দাবি, পুণেতে এই তালিকা তৈরি হওয়ায় গণ্ডগোল সেখানেই হয়েছে। অতিরিক্ত মিউনিসিপ্যাল কমিশনার সন্দীপ মালয়ি বলেন, “সাধারণত আমরা কোভিড পরবর্তী অবস্থায় রোগী কেমন আছে তা জানার জন্য ফোন করি পুরবাসীদের। পরিবারের কেউ মারা গিয়েছেন কি না তা-ও জানতে চাওয়া হয়। চন্দ্রশেখরের নাম মৃতের তালিকায় ছিল। ভুলবশত তাঁকে ফোন করা হয়েছিল। এই তালিকা আমরা বানাইনি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement