নানা জন নানা ভাবে জন্মদিন পালন করেন। কেউ ঘুরতে গিয়ে জন্মদিন পালন করেন, কেউ হোটেলে, আবার কেউ বাড়িতে। সাধারণত বাড়িতেই জন্মদিন পালনের বিষয়টি বেশি লক্ষ করা যায়।
হোটেল, বাড়িতে জন্মদিন পালনের বিষয়টি অজানা নয়। কিন্তু জন্মদিন পালনের জন্য শ্মশানকে বেছে নেওয়া হয়েছে, এমন ঘটনা কখনও শুনেছেন? বাস্তবে তেমনই একটি ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, শ্মশানে যাঁর জন্মদিন পালন হয়েছে, তাঁর নাম গৌতম রতন মোরে।
ঠাণের বাসিন্দা গৌতমের ৫৪তম জন্মদিন ছিল ১৯ নভেম্বর। জন্মদিন পালনের জন্য তিনি কোনও হোটেল বা লজ বুক করেননি। আবার বাড়িতেও জন্মদিন পালনের পথে হাঁটেননি। তাঁর জীবনের এই শুভ দিনটি পালনের জন্য গৌতম বেছে নিয়েছিলেন মোহনী শ্মশানঘাটকে।
অতিথি, বন্ধু-পরিজনদের শ্মশানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন গৌতম। প্রথমে সবাই অবাক হয়েছিলেন গৌতমের আজব এই কাণ্ড দেখে। বাড়ি, হোটেল থাকতে হঠাৎ শ্মশানকে কেন বেছে নিলেন গৌতম? সংবাদমাধ্যমকে ‘বার্থডে ম্যান’ জানিয়েছেন, তিনি সমাজের অন্ধবিশ্বাস দূর করতে চান। প্রখ্যাত সমাজকর্মী সিন্ধুতাই সপকাল এবং যুক্তিবাদী প্রয়াত নরেন্দ্র দাভোলকরই তাঁর অনুপ্রেরণা। এই দুই ব্যক্তি কালা জাদু, অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। আর তাঁদেরই দেখানো পথে হেঁটে সমাজ থেকে অন্ধবিশ্বাস দূর করতে চান। শ্মশানে ‘ভূত’ আছে বলে যে বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে, সেই বিশ্বাসকে তিনি ভেঙে দিতেই এই আয়োজন করেছেন বলে দাবি গৌতমের।
মোহনী শ্মশানে ৪০ জন মহিলা এবং বাচ্চা-সহ মোট ১০০ জন হাজির ছিলেন গৌতমের জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালনে। ধুমধাম করে কেট কাটা হয়। খাওয়াদাওয়ারও আয়োজন করা হয়েছিল শ্মশানে।