বিয়ে যদি করতেই হয় তা হলে তাঁর প্রেমিককেই করবেন। বাড়িতে তাঁর সম্পর্কের কথা জানিয়েছিলেন বছর ঊনিশের তরুণী। কিন্তু তাতে রাজি হননি তরুণীর মা। কারণ, তরুণী যে যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছিলেন, সেই যুবক অন্য জাতের। আর এখানেই আপত্তি ছিল পরিবারের।
কিন্তু তরুণী বাড়িতে জানিয়ে দেন, যদি বিয়ে করেন, তা হলে ওই ছেলেকেই বিয়ে করবেন। আর কাউকে নয়। তরুণীর মা-ও অন্য রকম পরিকল্পনা করেন। ভিন্ জাতের যুবকের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক ছিন্ন করতে তিনি নিজেদের জাতের এক পাত্র দেখে রেখেছিলেন। মেয়েকে এ কথা না জানিয়ে বাড়িতে ডেকে পাঠান। বাড়িতে আসার পর মহিলা তাঁর মেয়েকে জানান, নিজের জাতের এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে স্থির করেছেন। আর এ কথা শোনার পরই বেঁকে বসেন তরুণী।
মাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, পাত্রপক্ষের বাড়ির লোক এলে তাঁদের সমস্ত কথা জানিয়ে দেবেন। আর তাতেই চটে যান তরুণীর মা। অভিযোগ, তার পরই রাগের বশে মেয়েকে গলা টিপে খুন করেন। তার পর নিজেও আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রতিবেশীরা দেখে ফেলায় তাঁকে আটকে দেন। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর শিবলপেরির গ্রামে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত তরুণীর নাম অরুণা (১৯)। নার্স হওয়ার প্রশিক্ষণ নিতে শহরে গিয়েছিলেন। সেখানেই পড়াশোনা চালাচ্ছিলেন। শহরেরই এক যুবকের সঙ্গে অরুণার প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। যুবক নাদার সম্প্রদায়ের। আর অরুণা ছিলেন থেবর সম্প্রদায়ের। অরুণা তাঁর মা অরুমুগা কানিকে ওই সম্পর্কের কথা জানিয়েছিলেন। তার পরই এই ঘটনা ঘটেছে। মহিলার নামে একটি মামলা রুজু করেছে পুলিশ। আহত অবস্থায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।