—প্রতীকী ছবি।
বড়দিনেও হিংসা পুরোপুরি থামল না মণিপুরে। আজ পূর্ব ইম্ফলের তিনটি মেইতেই গ্রাম লক্ষ্য করে ভোরবেলা গুলি চালায় জঙ্গিরা। তবে কেউ হতাহত হননি। সরকার জাতীয় সড়ক খোলার দাবি করলেও কুকিদের অবরোধের ডাকে যান চলাচল বন্ধই থাকল। এর মধ্যেই কাংপোকপিতে ইম্ফল-ডিমাপুর রোডে ইম্ফলের উদ্দেশে চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে যাওয়া গাড়ি থামিয়ে সব সামগ্রীতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে কুকি জঙ্গিরা।
মণিপুরের কুকি এলাকায় এ বারের বড়দিনে যে কোনও উৎসব হবে না তা আগেই ঠিক ছিল। এক দিকে সংঘর্ষের আবহ, অন্য দিকে দেড় শতাধিক দেহ কবর দিয়ে ফেরা পরিবারগুলি কান্না। তাই কুকিরা একজোট হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, বড়দিনে শুধুই প্রার্থনাই হবে। গির্জার পাশাপাশি গত কাল থেকে ফুল জমতে থাকে গণ কবরে। ইম্ফলেও খ্রিস্টানরা গির্জায় গানে-প্রার্থনায় বড়দিন সারেন। তবে তার বাহ্যিক প্রকাশ ছিল না।
মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ আজ নববর্ষের ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে বলেন, “সমস্যা জটিল। সমাধানও তাই সময়সাপেক্ষ। ঘরছাড়াদের বাড়ি ফেরানো, বাচ্চাদের স্কুলে ফেরানো দরকার। মানুষের ফের কাজে ফেরা দরকার।” বড়দিনে সকলকে হিংসার পথ পরিহার করার অনুরোধ জানান তিনি।
কুকি ও মেইতেই, দুই সম্প্রদায়ের খ্রিস্টানেরাই উৎসব ও বনভোজনের খরচ বাঁচিয়ে সেই অর্থ ঘরছাড়াদের সাহায্যের জন্য ব্যয় করেছেন।
মণিপুরের নাগারাও বড়দিনে দুই সম্প্রদায়ের কাছেই হিংসা পরিহার করে, শান্তি ফেরানোর
আহ্বান জানিয়েছেন।