জঙ্গি দমনে সেনা। ছবি: পিটিআই
সেনাবাহিনীকে আরও আক্রমণাত্মক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। ভারত যে এ বার কাশ্মীর সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যেই এগোবে, সে বার্তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারও। তার পর থেকেই উপত্যকা জুড়ে শুরু হয়েছে জঙ্গি দমন অভিযান। সরকারি তথ্য অনুযায়ী চলতি জুলাই মাস পর্যন্ত নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয়েছে ৯২ জঙ্গি। গত বছর এই সংখ্যাটা ছিল ৭৯। পাশাপাশি কমেছে অনুপ্রবেশও।
কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে, ইউপিএ জমানায় এই পরিসংখ্যান ছিল অনেক কম। সীমান্তে সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে ২০১২ সালে মোট ৭২ জন এবং ২০১৩ সালে ৬৭ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, জঙ্গি দমন অভিযানে সাফল্যের মাত্রা বেড়েছে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর। ২০১৪ সালে সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে মোট ১১০ জন জঙ্গি খতম হয়। পরের বছর সংখ্যাটা কিছুটা কমে দাঁড়ায় ১০৮-এ। ২০১৬ তে সংখ্যাটা ফের বাড়ে। ওই বছর মোট ১৫০ জন জঙ্গি নিকেশ হয়।
আরও পড়ুন: একে৪৭-সহ সেনা উধাও কাশ্মীরে, জঙ্গি দলে যোগ বলে সন্দেহ
সেনা, প্যারামিলিটারি বাহিনী, রাজ্য সরকার এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয়ই এই সাফল্যের চাবিকাঠি বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক শীর্ষ স্থানীয় আধিকারিক। তাঁর কথায়, ‘‘২০১৪ ও ২০১৫ সালের তুলনায় চলতি বছরের ২ জুলাই পর্যন্ত সংখ্যাটা কিছুটা কম।’’ তবে গত বছরের তুলনায় নিঃসন্দেহে এটিকে বড় সাফল্য বলে মনে করেন তিনি। কারণ, চলতি বছরে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির শীর্ষ নেতাদের নিশানা করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে সেনাকে জঙ্গি দমনের কাজে কিছুটা স্বাধীন ভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। আর তাতেই সাফল্য মিলেছে বলে মন্ত্রকের ব্যাখ্যা।
এর পাশাপাশি জঙ্গি অনুপ্রবেশও অনেক কমেছে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। সরকারি সূত্রে খবর, ২০১৬ সালে ৩৭১টি অনুপ্রবেশের ঘটনা নথিবদ্ধ হয়েছিল। সেখানে, চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে ১২৪টি। যদিও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ গত বছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে। মোট সন্ত্রাসের ঘটনা ১৬৮টিরও বেশি। চলতি বছরে জুলাই পর্যন্ত ১৪২টি পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। পাশপাশি, হিজবুল কম্যান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুকে ঘিরে উপত্যকায় অশান্তি আরও বাড়ে। এ ছাড়া সার্জিকাল স্ট্রাইকের পরেও সীমান্তে নাশকতা ছড়ায় জঙ্গিরা।