হুঁশিয়ারি দিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে জি২০ সম্মেলনের আয়োজন নিয়েও।
আবারও নেটমাধ্যমে সক্রিয় জঙ্গিরা। তরুণদের মগজধোলাইয়ের জন্য গত কয়েক দিনে একাধিক ভিডিয়ো পোস্ট করেছে জঙ্গি সংগঠনগুলো। হুঁশিয়ারি দিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে জি২০ সম্মেলনের আয়োজন নিয়েও। ২০২৩ সালে সেখানেই এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে কেন্দ্র। ফলে জঙ্গিদের এই ভিডিয়ো চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা সংস্থা এবং গোয়েন্দাদের। তড়িঘড়ি নেটমাধ্যম থেকে সেসব ভিডিয়ো সরিয়ে দিয়েছেন নিরাপত্তা সংস্থার প্রযুক্তিবিদরা।
গত পাঁচ দিনে পিপল’স অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট (পিএএফএফ) তিনটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে। পুলিশের ধারণা, লস্কর-এ-তইবা আসলে এই নাম ধার করে সন্ত্রাসের প্রচার করছে। কাশ্মীর ফ্রিডম ফাইটার্স নামে অন্য একটি জঙ্গি সংগঠন আরও একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছে। যেখানে কয়েক জন জঙ্গি আপেল বাগানে মাস্ক পরে একে রাইফেল, পিস্তল ধরে রয়েছে।
পিএএফএফ সাম্প্রতিক ভিডিয়োটি নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তরুণ এক জঙ্গি রাষ্ট্রপুঞ্জকে উদ্দেশ্য করে আর্জি জানিয়েছে, ‘আমরা শুনলাম ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরে জি২০ সম্মেলন আয়োজনের চেষ্টা করছে ভারত সরকার। ভারতের এই অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরে লড়াই করে আসছে মানুষ। আন্তর্জাতিক কোনও মঞ্চ এসে আমাদের উদ্ধার করেনি, যদিও তারা কাশ্মীর সমস্যাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।’
ভিডিয়োতে জঙ্গির মুখ ঝাপসা। মাথায় ক্যাপ। গায়ে টিশার্ট। একটি পাথরের গায়ে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে ইংরেজিতে বক্তব্য রাখে। বিশাল ওই পাথরের উপর রয়েছে একটি চকচকে পিস্তল। ওই জঙ্গি পাল্টা আন্তর্জাতিক মঞ্চ এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের দিকে আঙুল তুলেছে। বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক মঞ্চের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে আমাদের অভিযোগ নেই। কারণ সব দেশ নিজের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত।’
পিএএফএফ আরও দু’টি ভিডিয়ো ক্লিপও প্রকাশ করেছে। যেখানে সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরে পুলিশ এবং সিআরপিএফকে লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলার ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে।