PM Narendra Modi

Terrorisms: জেহাদি সন্ত্রাস জারি, প্রমাণ পরিসংখ্যানেই

২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে আধাসেনার কনভয়ে হামলার পরে সেই অর্থে বড় কোনও মৌলবাদী জঙ্গি নাশকতার শিকার হয়নি ভারত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২২ ০৮:৫২
Share:

অব্যাহত সন্ত্রাস। প্রতীকী ছবি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দাবি ছিল, ২০২২ সালের মধ্যেই সন্ত্রাসমুক্ত হবে ভারত। তা যে হয়নি, দেখিয়ে দিল ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস বুরো (এনসিআরবি)-র পরিসংখ্যান। সেই তথ্যপঞ্জি বলছে, শুধু গত বছরে গোটা দেশে সব মিলিয়ে ৫৫০টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ১১৩টির নেপথ্যে ছিল ‘জেহাদি জঙ্গি’-রা।

Advertisement

সন্ত্রাসের ঘটনায় ওই এক বছরে সাধারণ নাগরিক ও নিরাপত্তাকর্মী মিলিয়ে মারা গিয়েছেন ১৮২ জন। ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে আধাসেনার কনভয়ে হামলার পরে সেই অর্থে বড় কোনও মৌলবাদী জঙ্গি নাশকতার শিকার হয়নি ভারত। তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ‘জেহাদি জঙ্গি’-রা যে হামলা চালিয়েই যাচ্ছে, তা উঠে এসেছে এনসিআরবি-র পরিসংখ্যানে। তাতে বলা হয়েছে, গত এক বছরে দেশে ১৮১টি সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে ১১৩টির পিছনে রয়েছে মৌলবাদী জেহাদি জঙ্গিরা। ২০১৭ সাল থেকে সাধারণ জঙ্গিদের পাশাপাশি মৌলবাদে অনুপ্রাণিত জেহাদি জঙ্গিদের পরিসংখ্যানও নথিভুক্ত করা শুরু হয়েছিল। গত বছর জেহাদি জঙ্গিরা থানা বা নিরাপত্তাবাহিনীর ছাউনিতে ৮৪টি হামলা চালিয়েছে। ওই হামলার অধিকাংশ হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। তাতে ১৭ জন সাধারণ নাগরিক ও ২২ জন নিরাপত্তাকর্মী মারা গিয়েছেন। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন-এ জম্মু-কাশ্মীরে গত বছর অভিযোগ দায়ের হয়েছে ১৩৪টি। বাকি দেশে ওই ধারায় কেবল চারটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গত বছর গোটা দেশে ২৮৮টি মাওবাদী হামলার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। তার মধ্যে ১৭১টি হয়েছে থানায় বা আধাসেনার শিবিরে। ওই হামলায় ৫৩ জন সাধারণ নাগরিক ও ৪৫ জন নিরাপত্তাকর্মী মারা গিয়েছেন। উত্তর-পূর্বে জঙ্গিরা ৮১টি হামলা চালিয়েছে। উত্তর-পূর্বে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে ১৫১টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মণিপুর। ওই রাজ্যে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ১৩৬টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গত এক বছরে সব মিলিয়ে মারা গিয়েছে ১১৮ জন জঙ্গি। তাদের মধ্যে ৮৬ জন জেহাদি জঙ্গি। গ্রেফতার হয়েছে ৭৮ জন জঙ্গি।

গত বারের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে দেশে। ২০২০ সালে যেখানে ৬৮,৩১২ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছিল, সেখানে ২০২১ সালে গোটা দেশে আরডিএক্স, বারুদ, প্লাস্টিক বিস্ফোরক, টিএনটি মিলিয়ে প্রায় ১,৪২,৯১৪ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। ওই বিস্ফোরকের একটি বড় অংশ উদ্ধার হয়েছে পঞ্জাব থেকে। মূলত পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ড্রোনের মাধ্যমে ওই বিস্ফোরক ভারতে পাচারের চেষ্টা করা হয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement