ফাইল চিত্র।
দেশের অন্যতম প্রধান মেট্রো শহর দিল্লি ও মুম্বই এবং দিল্লি ও হাওড়া-কলকাতার মধ্যে ট্রেনে যাতায়াতের সময় কমিয়ে আনতে পুরো রেলপথকে ‘কবচ’ সুরক্ষার আওতায় আনা হচ্ছে। এর জন্য সব জ়োনাল রেলওয়ে ওই কাজের বরাত দেওয়ার কাজ ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ করেছে।
প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার রেলপথ ছাড়াও ৭৬০টি রেল ইঞ্জিনকে কবচ নামক আধুনিক ট্রেন সুরক্ষা ব্যবস্থার আওতায় আনা হচ্ছে। এর ফলে যে-কোনও পরিস্থিতিতে কোথাও সিগন্যাল অমান্য করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে ট্রেন নিজের থেকেই থেমে যাবে। ইতিমধ্যে হাওড়া-দিল্লি রুটে রাজধানীর মতো ট্রেনে সফরের সময় কমিয়ে ১২ ঘণ্টা করতে উত্তর, উত্তর-মধ্য, পূর্ব-মধ্য এবং পূর্ব রেল রুটের তাদের অংশে প্রয়োজনীয় কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছে।
রেল সূত্রের খবর, ‘কবচ’ প্রযুক্তি প্রয়োগের জন্য ট্র্যাক সার্কিট ব্যবস্থায় বদল আনতে প্রতি কিলোমিটারে ২০ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে রেলের। একই সঙ্গে প্রতিটি রেল ইঞ্জিনে প্রয়োজনীয় যন্ত্র বসানোর জন্য খরচ হচ্ছে ৬০ লক্ষ টাকা। উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির রেডিয়ো তরঙ্গ মারফত প্রেরিত সঙ্কেত ট্রেনের ব্রেক নিয়ন্ত্রণ করবে। কোথাওট্রেনের গতি বৃদ্ধি পেয়ে অন্য ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধানোর মতো পরিস্থিতি দেখা দিলে নিজের থেকেই ব্রেক লেগে গিয়ে থেমে যাবে ট্রেন।রেলের দাবি, ওই প্রযুক্তিতে ট্রেন সর্বাধিক ১৬০ কিলোমিটার গতিতে ছোটানো যাবে।
ওই প্রযুক্তির প্রথম সফল পরীক্ষা হয়েছে দক্ষিণ-মধ্য রেলে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ-মধ্য রেল তাদের এলাকার ১৪৬৫ কিলোমিটার পথে ওই প্রযুক্তি বসানোর কাজ সম্পূর্ণ করেছে। চলতি বছরে সারা দেশে ২০০০ কিলোমিটার পথে ওই প্রযুক্তি বসানো হবে। তবে শুরুতে মেট্রো শহরগুলির মধ্যে যোগাযোগের জন্য সংশ্লিষ্ট রেলপথকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। আগামী বছর থেকে গড়ে চার-পাঁচ হাজার কিলোমিটার পথে ওই প্রযুক্তি বসানোর কাজ শেষ করতে চায় রেল। প্রক্রিয়া শেষ হলে হাওড়া-দিল্লি, মুম্বই-হাওড়া রুটে ট্রেন সফরের সময় উল্লেখ্যযোগ্য হারেকমে যাবে।