মন্দিরে গিয়ে নিয়ম মেনেই বিয়ে করেছিলেন নিক্কি, সাহিল। ছবি: সংগৃহীত।
দিল্লিতে নিক্কি যাদব খুনের ঘটনায় মুখ খুললেন মন্দিরের পুরোহিত। তিনিই তিন বছর আগে সাহিল এবং নিক্কির চারহাত এক করেছিলেন। মন্দিরে গিয়ে নিয়ম মেনেই বিয়ে করেছিলেন এই যুগল।
পুলিশ জানিয়েছে, নিক্কি এবং সাহিলের সম্পর্কের খবর জানতেন সাহিলের পরিবারের সদস্যেরা। এমনকি বিয়ের কথাও তাঁদের অজানা ছিল না। নিক্কিকে খুনের নেপথ্যে সাহিলের পরিবারের হাত রয়েছে। তাঁর বাবা-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দিল্লির একটি আর্য সমাজ মন্দিরে বিয়ে করেছিলেন সাহিল, নিক্কি। ২০২০ সালের ১ অক্টোবর তাঁদের চারহাত এক হয়। ওই মন্দিরের পুরোহিত বিপিন আর্য সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, তিনি সাহিল এবং নিক্কির বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। পাত্র বা পাত্রী কোনও পক্ষেরই পরিবারের সদস্য বিয়ের সময় হাজির ছিলেন না। মন্দির কর্তৃপক্ষকে সাহিলরা জানিয়েছিলেন, তাঁদের পরিবার বিয়ের কথা জানে। কিন্তু বিশেষ কারণে বিয়েতে তাঁরা আসতে পারেননি।
সাহিল এবং নিক্কির বিয়ের সাক্ষী ছিলেন এক থেকে দু’জন পরিচিত, জানিয়েছেন মন্দিরের পুরোহিত। নিক্কি খুনের ঘটনায় সাহিলের বাবা ছাড়াও তাঁর দুই আত্মীয় এবং দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, তাঁদের মদতেই খুন করেছেন সাহিল।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রেমিকা তথা লিভ ইন সঙ্গী নিক্কিকে খুন করেন সাহিল। তার আগে ৯ তারিখ রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়িতে ঘুরছিলেন দু’জন। মোবাইলের চার্জারের তার গলায় পেঁচিয়ে নিক্কির শ্বাসরোধ করেন সাহিল। তার পর মৃতদেহ নিয়ে যান নিজের ধাবায়। ফ্রিজ়ে দেহ লুকিয়ে তড়িঘড়ি বিয়ের আসরে হাজির হন। পরিবারের পছন্দ অনুযায়ী অন্য এক মহিলাকে বিয়েও করেন প্রথম স্ত্রীকে খুনের কয়েক ঘণ্টা পর। মন্দিরে বিয়ের সাজে নিক্কি এবং সাহিলের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।