Nikki Yadav Murder Case

সাহিল আর নিক্কির নয়ডার মন্দিরে বিয়ের ছবি প্রকাশ্যে, কারা সাক্ষী ছিলেন বিয়েতে? চলছে খোঁজ

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে নয়ডার এক মন্দিরে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। সেই ছবি এ বার প্রকাশ্যে এসেছে। বিয়েতে আর কারা সাক্ষী ছিলেন, এখন খুঁজছে পুলিশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৪:৩৬
Share:

নিক্কির সঙ্গে সাহিলের বিয়ের ছবি এ বার প্রকাশ্যে (বাঁ দিকে)। ১০ ফেব্রুয়ারি পরিবারের পছন্দ করা পাত্রীকে বিয়ে করেন সাহিল (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

পুলিশ সূত্রে আগেই জানানো হয়েছিল যে, নিক্কি যাদব এবং সাহিল গহলৌত একত্রবাসের সঙ্গী ছিলেন না। তাঁদের যে বিয়ে হয়েছিল, এ বার সেই প্রমাণ হাতে উঠে এল পুলিশের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে নয়ডার এক মন্দিরে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। সেই ছবি এ বার প্রকাশ্যে এসেছে। বিয়েতে আর কারা সাক্ষী ছিলেন, এখন খুঁজছে পুলিশ। বিয়ের কথা বাবাকেও জানিয়েছিলেন দিল্লির ধাবার মালিক সাহিল। তা জানার পরেও অন্য মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেছিলেন সাহিলের বাবা বীরেন্দর সিংহ। তাঁকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ২০২০ সালে নয়ডার ‘আর্য সমাজ’ মন্দিরে বিয়ে করেছিলেন নিক্কি আর সাহিল। সে সময় তাঁরা নয়ডারই একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। মন্দির কর্তৃপক্ষ বিয়ের নথি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। তাতে দেখা গিয়েছে, বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন দম্পতির দু’জন বন্ধু। তাঁদের এ বার খুঁজছে পুলিশ।

পুলিশের একটি সূত্র এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘সাহিলের বাবা এই বিয়ের বিষয়ে জানতেন। তার পরেও তিনি অন্য এক তরুণীর সঙ্গে সাহিলের বিয়ে ঠিক করেন। এমনকি নিক্কিকে খুনের পর সে কথাও বাবাকে জানিয়েছিলেন সাহিল। তার পরেও জোর করে নির্ধারিত দিনেই নির্ধারিত পাত্রীর সঙ্গে সাহিলের বিয়ে দেন তিনি। সাহিলকে জেরা করে এ সব তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ। তাঁর কলরেকর্ডও খতিয়ে দেখা হয়েছে।’’

Advertisement

বীরেন্দরের পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে সাহিলের দুই বন্ধু এবং দুই তুতো ভাইবোনকেও। শুক্রবার আদালতে ওই ৫ জনকে পেশ করা হলে তাঁদের ৩ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশের অনুমান, তাঁরা সাহিলকে খুনে সাহায্য করেছিলেন। টাইমস অফ ইন্ডিয়া সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নবীন নামে দিল্লির এক পুলিশ আধিকারিকের যোগসূত্র রয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, নবীন সম্পর্কে সাহিলের মাসির ছেলে। অভিযোগ, নিক্কি খুনে সাহিলকে তিনি সাহায্য করেছিলেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, অন্য মহিলার সঙ্গে সাহিলের বিয়ে ঠিক হয়েছিল জানতে পেরেছিলেন নিক্কি। তার পরেই তাঁকে ডেটা কেবলের তার জড়িয়ে খুন করেছিলেন সাহিল। পুলিশ মনে করছে, পরিবারের লোকজনের সঙ্গে পরিকল্পনা করেই নিক্কিকে খুন করেছিলেন সাহিল। গত মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। বুধবার হরিয়ানার ঝাজ্জরে শেষকৃত্য হয় নিক্কির।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement