সিবিআই তদন্তে জেনারেল কনসেন্ট প্রত্যাহার চন্দ্রশেখর রাও সরকারের। — ফাইল ছবি।
রাজ্যের কোনও বিষয়ে তদন্তের ক্ষেত্রে সিবিআইকে দেওয়া ‘জেনারেল কনসেন্ট’ বা আগাম সম্মতি প্রত্যাহার করে নিল তেলঙ্গানা রাজ্য সরকার। এই মর্মে তা তেলঙ্গানা হাই কোর্টকে জানিয়েছেন রাজ্যের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল।
তেলঙ্গানায় টিআরএস বিধায়কদের ভাঙিয়ে সরকার ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি। এই অভিযোগের সিবিআই তদন্ত দাবি করে দায়ের হওয়া একটি মামলার শুনানিতে আদালতকে এ কথা জানান অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল। প্রসঙ্গত, চার টিআরএস বিধায়ককে কিনতে চেয়ে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে হায়দরাবাদে। শনিবার, ধৃতদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারপতি।
তেলঙ্গানায় সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে জেনারেল কনসেন্ট দেওয়া ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক টিআরএস-বিজেপি টানাপড়েনের প্রেক্ষিতে সেই অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের সুপারিশ বা হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছাড়া রাজ্যে সিবিআই তদন্ত করতে পারে না। তবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই সরাসরি তদন্ত করতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রেও তল্লাশির ক্ষেত্রে রাজ্যের অনুমতি প্রয়োজন। তাই রাজ্যগুলি সিবিআইকে ‘জেনারেল কনসেন্ট’ বা আগাম সম্মতি দিয়ে রাখে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী সরকারের সঙ্গে কয়েকটি রাজ্যের সম্পর্কে টানাপড়েনেরে প্রেক্ষিতে পঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড, কেরল, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ় ও মিজোরাম জেনারেল কনসেন্ট প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এ বার সেই তালিকায় নাম তুলে ফেলল তেলঙ্গানার চন্দ্রশেখর রাওয়ের টিআরএস সরকারও।
গত বুধবার রাতে হায়দরাবাদে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করে। টিআরএসের চার বিধায়ককে ৫০ থেকে ১০০ কোটি টাকা করে দিয়ে কেনার অভিযোগ ধৃতদের বিরুদ্ধে। চন্দ্রশেখর রাওয়ের দলের অভিযোগ, বিজেপি বিশাল টাকার টোপ দিয়ে তেলঙ্গানায় সরকার ফেলে বিজেপি সরকার তৈরির চেষ্টা করছে। বিধায়ক কেনার চেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া এক ব্যক্তির সঙ্গে তেলঙ্গানার বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডির ছবিও প্রকাশ করেছে টিআরএস। যদিও বিজেপি সমস্ত অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত সিবিআইকে দেওয়া তেলঙ্গানা সরকারের আগাম সম্মতি প্রত্যাহার করে নিল চন্দ্রশেখর রাওয়ের সরকার।