তেলঙ্গানার স্কুলে গেরুয়া পোশাক পরে পড়ুয়ারা। ছবি: সংগৃহীত।
গেরুয়া রঙের পোশাক পরে স্কুলে গিয়েছিল একদল ছাত্র। কিন্তু স্কুলের নির্দিষ্ট পোশাক না পরায় শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাদের বাধা দেন বলে অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে অভিভাবকেরা দল বেঁধে স্কুলে গিয়ে ভাঙচুর চালালেন। একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সংগঠনের সদস্যেরাও স্কুল ভাঙচুর করতে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
তেলঙ্গানার মঞ্চেরিয়ল জেলার একটি স্কুলের ঘটনা। অভিযোগ, সম্প্রতি এক দিন স্কুলের কিছু ছাত্র স্কুলের পোশাক না পরে গেরুয়া রঙের নির্দিষ্ট পোশাক পরে এসেছিল। যা ‘হনুমান দীক্ষা পোশাক’ বলে পরিচিত। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা ওই ছাত্রদের বাধা দেন। অভিযোগ, অন্য পোশাক পরে আসায় তাঁদের ক্লাসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অভিভাবকদের সঙ্গেও দেখা করতে চান শিক্ষিকারা। সেই সঙ্গে বার্ষিক পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ায় হুমকিও দেওয়া হয় ওই ছাত্রদের।
ধর্মীয় পোশাক পরে স্কুলে যাওয়ায় ছাত্রদের হেনস্থার অভিযোগে অভিভাবকেরা পরের দিন স্কুল ঘেরাও করেন। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগও দায়ের করেন তাঁরা। অভিভাবকদের যুক্তি ছিল, একটি বিশেষ ধর্মীয় রীতি পালনের জন্য ২১ দিন ছাত্রদের ওই পোশাক পরে থাকতে হচ্ছে। সেই কারণেই তারা স্কুলেও ওই পোশাক পরে গিয়েছিল। এ প্রসঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষের পাল্টা যুক্তি, স্কুলের পোশাক পরে না আসায় শিক্ষিকারা ওই ছাত্রদের অভিভাবকের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। ক্লাস করতে না দেওয়া বা পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার হুমকির অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
অভিযোগ, এই ঘটনার পরের দিন একটি ধর্মীয় সংগঠনের সদস্যেরা স্কুলের সামনে জড়ো হন এবং বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ছাত্রদের অভিভাবকেরাও সেই দলে ছিলেন। স্কুল ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। যার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, স্কুলের জানলা ভেঙে পড়ে আছে। বেশ কিছু আসবাবপত্রও ভেঙে গিয়েছে। ভাইরাল ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।