ছবি- পিটিআই।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হদিশ পেতে র্যাপিড টেস্ট শুরু হয়েছে তেলঙ্গানার বিভিন্ন জায়গায়। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও পরীক্ষা কেন্দ্রে হচ্ছে এই টেস্ট। গত ১০ দিনে সেই টেস্টে কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসা দু’হাজারেরেও বেশি জনকে খুঁজে পাচ্ছে না তেলঙ্গানা প্রশাসন। তেলঙ্গানা স্বাস্থ্যদফতরের তরফে বৃহস্পতিবার এই ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য ওই কোভিড রোগীদের অনুরোধ জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে।
দফতরের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘সরকারি হাসপাতাল ও অন্যান্য পরীক্ষা কেন্দ্রে গত ১০ দিন ধরে চলছে এই র্যাপিড টেস্ট। তাতে পজিটিভ আসা দু’হাজারেরও বেশি জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।’’ স্বাস্থ্য দফতর ও পুর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ওই সব রোগীরা টেস্টের সময় ভুল ফোন নম্বর দিয়েছিলেন। অনেকে আবার বাড়ির ঠিকানাও ভুল দিয়েছিলেন। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের খোঁজ মিলছে না।
মূলত সামাজিক ভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ভয় থেকেই এই কাজ তাঁরা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। টেস্টের পর ওই ব্যক্তিদের আইসোলেশন কিট দিয়ে বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গ্রেটার হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনার ডিএস লোকেশ কুমার। তিনি ওই কোভিড পজিটিভ ব্যক্তিদের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “ওই ব্যক্তিরা যদি নির্দেশ না মেনে রাস্তায় ঘুরে বেড়ান, তা হলে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাবে।’’ ওই ব্যক্তিদের দেওয়া বহু ফোন নম্বর বন্ধ ও কিছু নম্বর ভুল বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘খুঁজতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে ১০ জন ব্যক্তি একই নম্বর দিয়েছিলেন। সেই ফোন নম্বরও বন্ধ!’’ আধার কার্ড থেকে ঠিকানা বের করে কারও বাড়ি পৌঁছে আইসোলেশন কিট দিলেও তাঁরা আইসোলেশনে থাকতে চাইছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত প্রায় ৩৫ হাজার, দেশে মৃত্যু ছাড়াল ২৫ হাজার
গত কয়েক দিন ধরেই হায়দরাবাদ-সহ তেলঙ্গানায় হু হু করে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। গড়ে প্রায় দেড় হাজার দৈনিক সংক্রমণ হচ্ছে সেখানে। গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৬৭৬ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন সে রাজ্যে। যার জেরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। কোভিডের জেরে ৩৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে সে রাজ্যে।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ লক্ষ, রাজ্যে প্রায় ৬০ হাজার!