ফাইল ছবি।
দীর্ঘ অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই শেষ। রাজ্যের মন্ত্রী এবং মানিকতলা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক সাধন পাণ্ডে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন ৭১ বছর বয়সে।
অসুস্থ ছিলেন অনেক দিনই। কিডনি প্রতিস্থাপন করাতে হয়েছিল বছর দশেক আগে। গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারপর্বেও এক বার ভর্তি হতে হয়েছিল হাসপাতালে। তবে কয়েক দিনের মধ্যেই ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফেরেন। নির্বাচনে বিজেপি-র কল্যাণ চৌবেকে হারান ২০,২৩৮ ভোটে। গত ১০ মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় শপথ নেওয়ার পর জোড়া দফতরের দায়িত্ব পান।
জুলাই মাসের মাঝামাঝি ফের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন সাধন। ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্ত মন্ত্রীকে ১৬ জুলাই রাতে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তখন তিনি অনেকটাই সংজ্ঞাহীন। কয়েক দিন ভেন্টিলেশনে রাখা হয় তাঁকে। সেপ্টেম্বরে মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হল তাঁর। দীর্ঘদিনের সতীর্থ সাধনের মৃত্যুর খবর দিয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কন্যা শ্রেয়া পাণ্ডে জানিয়েছেন, ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে সাধনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। রবিবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। মানিকতলার বিধায়কের দেহ রবিবার বিকেলেই আনা হবে কলকাতায়। বিমানবন্দরে হাজির থাকবেন মন্ত্রী শশী পাঁজা ও সুজিত বসু। রবিবার তাঁর দেহ রাখা থাকবে পিস ওয়ার্ল্ডে। সোমবার কখন তাঁর শেষকৃত্য হবে তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রয়াত মন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজ্যের সমস্ত সরকারি দফতরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের পাশাপাশি রাজ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং স্বনিযুক্তি দফতরেরও মন্ত্রী ছিলেন সাধন। তাঁর অসুস্থতার জন্য গত অগস্ট মাসে ওই দু’টি দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। তবে সুব্রতের আচমকা মৃত্যুতে ফের হাতবদল হয় ওই দুই দফতরের। সাধনকে অবশ্য দফতরহীন মন্ত্রী রেখে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।