ভিন ধর্মে বিয়ে মেনে নিয়েছিল পরিবার, জানালেন তেজস্বী।
স্ত্রী র্যাচেল গোডিনহো ওরফে রাজশ্রী যাদব ‘উপযুক্ত সঙ্গী’। আর তাঁকে বিয়ের ব্যাপারে পূর্ণ সমর্থন ছিল যাদব পরিবারের। বৃহস্পতিবার জানালেন তেজস্বী যাদব। বিহারের নতুন উপমুখ্যমন্ত্রী। এও বললেন, অনেক বিষয়েই তাঁর বাবা তথা রাষ্ট্রীয় জনতা দল সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ আধুনিক।
একটি সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, বিয়ে মানে তাঁর কাছে সঠিক ‘বোঝাপড়া আর অংশীদারিত্ব’। যখন দেখেছিলেন র্যাচেলের মধ্যে সেই গুণ রয়েছে, তখনই বাবাকে গিয়ে বলেছিলেন, ‘‘আমি এই মেয়েটির সঙ্গে ডেট করছি এবং ওঁকে বিয়ে করতে চাই। কিন্তু ও খ্রিস্টান।’’
কী বলেছিলেন লালু? সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তেজস্বী বলেন, ‘‘বাবা তেমন কিছু বলেননি। বলেছিলেন, ঠিক আছে। অসুবিধা নেই। সাধারণ মানুষের লালুপ্রসাদের বিষয়ে এটা জানা দরকার।’’ এর পরই বলেন, অনেক বিষয়েই তাঁর বাবা আধুনিক।
তেজস্বীর সাত বোন রয়েছেন। সকলেরই সম্বন্ধ করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিহারের নতুন নীতীশ-সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বীর কথায়, ‘‘দিদি এবং বোনদের বিয়ে নিয়ে চাপ দেওয়া হয়নি। আমার বাবা, আমার পরিবার, বিহার নিয়ে মানুষের কিছু ভুল ধারণা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবটা ভিন্ন।’’
র্যাচেল থেকে কেন রাজশ্রী হলেন তেজস্বীর স্ত্রী? আরজেডি নেতা জানিয়েছেন, ‘‘বিহারের মানুষের রাজশ্রী নামটা উচ্চারণ করতে সুবিধা বলে ওঁর এই সিদ্ধান্ত। নামটা দিয়েছেন বাবা।’’
বিহারে আরজেডি বার বার জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবি তুলেছে। বিজেপি এই নিয়ে খোঁচা দিতে তেজস্বীর বিয়ের প্রসঙ্গ তুলেছে। বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ আর বিহারের দুই যুবরাজই জাতপাতের ভেদ ভেঙেছে। তাই তাঁদের পরিবারের এ বার জাতিভিত্তিক জনগণার দাবি তোলা বন্ধ করা উচিত।’’ প্রসঙ্গত তেজস্বীর মতো অখিলেশের স্ত্রী ডিম্পলও যাদব নন।