তেজস্বী সূর্য।
প্রধানমন্ত্রী যখন অযোধ্যায় রামমন্দিরের শিলান্যাস ও ভূমিপুজোয় ব্যস্ত, ২৯ বছরের তেজস্বী সূর্য তখন টুইট করেছিলেন, ‘রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ হিন্দুদের হাতেই রাখতে হবে। ধর্মরক্ষায় তা জরুরি। এটাই গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। যখন রাষ্ট্রের ক্ষমতা আমাদের হাতে থাকে না, তখন আমাদের মন্দির বেদখল হয়। ক্ষমতা এলে আবার মন্দির তৈরি হয়।’
বিজেপির নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি, দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর বিতর্কিত সাংসদ সেই তেজস্বী সূর্যের হাতে আজ দলের যুব মোর্চার ভার তুলে দেওয়া হল। বিজেপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আট মাস পরে জে পি নড্ডা নিজের নতুন ‘টিম’ ঘোষণা করলেন। জাতীয় সাধারণ সম্পাদকের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন রাম মাধব, মুরলীধর রাওয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মুখ। দলের সহ-সভাপতির তালিকা থেকে প্রবীণ নেতানেত্রীদের মধ্যে বাদ পড়েছেন উমা ভারতী। তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহ, বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়াকে সহ-সভাপতি রেখে দেওয়া হয়েছে। নতুন সহ-সভাপতি হয়েছেন প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী, বিহারের রাধামোহন সিংহ, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস।
বিজেপি নেতারা মনে করছেন, অমিত শাহ তো বটেই, সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষের পছন্দ-অপছন্দ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। সন্তোষের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতির জন্যই রাম মাধবকে সরে যেতে হল বলে তাঁদের মত। পুনম মহাজনকে সরিয়ে তেজস্বীকে যুব মোর্চার দায়িত্ব দেওয়ার পিছনেও সন্তোষের সুপারিশ। নড্ডার টিমে শাহর প্রিয়পাত্র ভূপেন্দ্র যাদব, কৈলাস বিজয়বর্গীয়েরা রয়েছেন। রাজনাথ সিংহের আত্মীয় অরুণ সিংহও রয়ে গিয়েছেন। শাহের প্রিয়পাত্র হলেও বাদ পড়েছেন অনিল জৈন, বিনয় সহস্রবুদ্ধ। তাঁরা সরকারে দায়িত্ব পেতে পারেন কি না, জল্পনা শুরু হয়েছে।
বিজেপির আইটি সেল-এর প্রধানের পদ থেকে অমিত মালব্যকে সরানোর দাবি তুলেছিলেন সুব্রহ্মণ্যন স্বামী। তাঁকে সন্তোষের সুপারিশেই ওই পদে রেখে দেওয়া হয়েছে। বেঙ্কাইয়া নায়ডু উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে এবং অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজ, অনন্ত কুমারের প্রয়াণের পর সংসদীয় বোর্ডে চারটি পদ খালি রয়েছে। সেই শূন্যস্থানও এ দিন পূরণ করা হয়নি।