তেজস্বী যাদব।
কুস্তি, দোস্তি, কুস্তি, আবারও দোস্তি। নীতীশ ‘চাচা’র প্রতি পুরনো অভিমান ভুলে তাঁকে নিঃশর্ত সমর্থন দিয়েছেন লালু-পুত্র তেজস্বী। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে অষ্টম বারের জন্য শপথগ্রহণের পর নীতীশও রাগ ভুলে আলিঙ্গনাবদ্ধ হয়েছেন ডেপুটি ‘ভাতিজা’র সঙ্গে। শপথগ্রহণের পর দৃশ্যতই আত্মবিশ্বাসী লালু-পুত্র তেজস্বী আগামী এক মাসের মধ্যে রাজ্যে বিপুল কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিলেন। প্রত্যয়ের সঙ্গে দাবি করলেন, দেশের বাকি রাজ্যগুলি বিহারকে অনুসরণ করবে।
বিহারের নতুন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী জানিয়েছেন, এক মাসের মধ্যে রাজ্যের গরিব ও যুবকদের জন্য একশোরও বেশি চাকরির বন্দোবস্ত করবে তাঁদের সরকার। নিজেকে বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অন্যতম ‘যোদ্ধা’ বলে উল্লেখ করে তেজস্বীর দাবি, বিহারের নতুন সরকার যত কর্মসংস্থান তৈরি করবে, তত চাকরি অতীতে কেউ দেয়নি। তেজস্বীর কথায়, “দেশের এখন যা প্রয়োজন, তা করে দেখাবে বিহার। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী গরিব এবং যুব সম্প্রদায়ের কষ্ট বোঝেন। তাই আমাদের সরকার মূলত এই দুই শ্রেণির জন্য প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি করবে।”
সরকারের স্থায়িত্ব ও নিজেদের শক্তির কথা বলতে গিয়ে তেজস্বী বলেন, “মহাগঠবন্ধন এখন এতটাই শক্তিশালী যে, বিহার বিধানসভায় একমাত্র বিরোধী দল হল বিজেপি।” মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সিদ্ধান্তের প্রশংসাও শোনা গিয়েছে ডেপুটি তেজস্বীর গলায়। তেজস্বী বলেন, “বিজেপি সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করতে চেয়েছিল। আঞ্চলিক দলগুলিকে শেষ করতে চেয়েছিল।” নীতীশ কুমার বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ করে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন তেজস্বী।