পটনার ইডি দফতরে তেজস্বী যাদব। মঙ্গলবার। ছবি: সংগৃহীত।
জমির বদলে চাকরি মামলায় গত সোমবারই ৯ ঘণ্টা ধরে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। ওই একই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল লালু-পুত্র তেজস্বী যাদবকে। মঙ্গলবার পটনার ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন বিহারের সদ্য প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী। ইডি সূত্রে খবর, তেজস্বীকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।
শুধু তেজস্বীই নন, এই মামলায় আর এক অভিযুক্ত তথা লালুর কন্যা মিসা ভারতীও মঙ্গলবার ইডি দফতরে হাজিরা দেন। ইডি দফতরের বাইরে বিক্ষোভ দেখান আরজেডি সমর্থকেরা।
লালু প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন (২০০৪-০৯) বিহারের বহু যুবককে জমি এবং টাকার বিনিময়ে রেলের গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং তাঁদের দুই কন্যা মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধে। পরবর্তী সময়ে ঘটনার তদন্তে লালু-পুত্র তথা বিহারের সদ্য প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বীর নামও উঠে আসে।
ইডির অভিযোগ, চাকরির বিনিময়ে বহু যুবকের থেকে জমি নেওয়া হয়েছিল। সেই জমি তাঁরা লালুর পরিবারের সদস্য এবং ‘একে ইনফোসিস্টেমস’ সংস্থার নামে করেছিলেন। ওই সংস্থার সঙ্গে যোগ রয়েছে লালুর পরিবারের সদস্যদের বলে দাবি ইডির। ঘটনার তদন্তে নেমেছিল সিবিআই। পটনা, দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। তার পর অভিযান চালানো হয় আরজেডির একাধিক নেতার বাড়িতে। সিবিআই আগেই চার্জশিট দিয়েছিল লালু এবং তাঁর পরিবারের কয়েক জনের নামে। সম্প্রতি চার্জশিট দিয়েছে ইডিও।
ঘটনাচক্রে, রবিবারই বিহারে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে লালুর দল আরজেডি। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আরজেডি এবং কংগ্রেসের সঙ্গ ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদীর সরকার ইডি-সহ কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে কাজে লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবারই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। ৭৫ বছর বয়সি লালু দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ। পশুখাদ্য-দুর্নীতি মামলায় সাজা পেলেও স্বাস্থ্যের কারণে আদালত জামিনে মুক্তি দিয়েছে তাঁকে।