প্রতীকী ছবি।
পরীক্ষা দিয়ে ফিরছিল ক্লাস নাইনের মেয়েটি। স্কুলের কাছেই জোর করে তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় কিছু যুবক। ধর্ষণ করে ওই কিশোরীকে। সিপাহিজলা জেলার সোনামুড়ায় গত কালের এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে রাজ্যে। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে আজ গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে এ দিনই আদালতে তোলা হয়েছে। গাড়িটিও পুলিশ উদ্ধার করেছে। আগরতলা থেকে পুলিশের ফরেন্সিক বিভাগের লোক জন গিয়ে গাড়িটি পরীক্ষা করবে। দোষীদের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে বিচারের দাবি জানিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ।
ধর্ষণের পরে মেয়েটিকে ঠাকুরমুড়া এলাকায় চলন্ত গাড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছিল যুবকরা। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। মেয়েটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাকে আগরতলা জিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে, একটি কালো রঙের অল্টো গাড়ি থেকে ছাত্রীটিকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ছাত্রীর বাবা ফৌজদারি দণ্ডবিধি ৩৫৬ ও ৩৭৬ ধারা এবং পকসো আইনের ৬ ধারায় মামলা করেছেন। মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য, পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে স্কুলের পাশের একটি ষ্টেশনারি দোকানে গিয়েছিল মেয়েটি। দোকান থেকে বার হতেই মেয়েটিকে কালো রঙের একটি আল্টো গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় কয়েক জন যুবক।
বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী পাপিয়া দত্ত জানান, ধৃত জুয়েল মিয়াঁ প্রায়ই মেয়েটিকে উত্যক্ত করত। বিজেপির মহিলা মোর্চা এবং মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা হাসপাতালে ছাত্রীটিকে দেখতে যান। পাপিয়া দেবী বলেন, ‘‘এই কাজ বিকৃত মানসিকতার। চুপচাপ বসে থাকার দিন শেষ।’’ ৩ জানুয়ারী ধর্ষণ ও মহিলা সংক্রান্ত অপরাধের বিরুদ্ধে মিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। বিরোধীদের দাবি, বিজেপির জমানায় ধর্ষণ ও মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রতিবাদ জানাতে শাসক দলের বিধায়কদের মিছিল করতে হচ্ছে।