ফের গণধর্ষণের ঘটনা উত্তরপ্রদেশে। প্রতীকী চিত্র
ফের সামনে এল গণধর্ষণের ঘটনা। এবার গণধর্ষণের শিকার উত্তরপ্রদেশের ১৬ বছরের এক কিশোরী। ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি তিন ধর্ষক, মোবাইলে নিজেদের কুকীর্তির ভিডিয়োও তোলে তারা। দুষ্কৃতীদের একজনকে ধরে ফেলে গণপিটুনি দেয় গ্রামবাসীরা। বাকি দু’জন পালিয়ে যায়।
শনিবার উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ থেকে ১৯০ কিলোমিটার দূরে কোশাম্বী জেলার এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। পুলিশকে ওই কিশোরী জানায়, শনিবার গবাদি পশুর জন্যে খাবার সংগ্রহ করতে পাশের গ্রামে গিয়েছিল সে। এই সময়েই অতর্কিতে তার ওপর চড়াও হয় ওই তিন যুবক। নির্জন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। তার পরেই শুরু হয় অত্যাচার। সংবাদমাধ্যমের সামনেও মুখ খোলে ওই নিগৃহীতা কিশোরী। সে বলে, ‘‘ওরা আমার সঙ্গে পাশবিক আচরণ করেছে। আমি ওদের হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু হোঁচট খেয়ে মাঠের মধ্যেই পড়ে যাই।’’মেয়েটির চিৎকার শুনতে পেয়ে আশেপাশের গ্রামবাসীরা ছুটে এলে পালানোর চেষ্টা করে ওই তিন দুষ্কৃতী। মহম্মদ ছোটকা ও মহম্মদ বড়কা নামের দুই ভাই পালাতে পারলেও মহম্মদ নাজিম পালাতে পারেনি। তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় গ্রামবাসীরা।
রবিবার মায়ের সঙ্গে এই ঘটনার অভিযোগ জানাতে নিকটবর্তী থানায় গেলে তাঁদের সঙ্গে পুলিশ দুর্ব্যবহার করে বলে অভিযোগ। এফআইআর না নিয়ে কিশোরীটিকে সত্যতা প্রমাণ করতে বলেন ওই পুলিশকর্মীরা। পরে ঘটনার কথা জানাজানি হতেই তৎপরতা বাড়ানো হয় প্রশাসনের তরফে। অভিযোগ না নেওয়ার ঘটনায় জড়িত দুই পুলিশকর্মীকে বরখাস্তও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানে অপেক্ষায় ৫০০ জঙ্গি, বললেন সেনাপ্রধান
আরও পড়ুন:এক দেশ এক কার্ডের প্রস্তাব অমিত শাহের, সুরক্ষা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
প্রয়াগরাজের পুলিশকর্তা সুজিৎ পাণ্ডে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘ইতিমধ্যেই এক অভিযুক্ত ধরা পড়েছে। বাকি দু’জনকে ধরতে পাঁচটি টিম তৈরি করা হচ্ছে। যে ভাবেই হোক তাদের খুঁজে বের করা হবে। নিগৃহীতা মেয়েটির মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়েছে।’’