জেলাশাসকের কার্যালয়ে এসে বিক্ষোভ দেখাল রতনপুর চা বাগানের শ্রমিকরা। তাঁদের সমস্ত অভিযোগ ডিরেক্টর কমলেশ সিংহের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তিনি শ্রমিকদের শোষণ, অত্যাচার, জমিদখল করছেন।
আজ ভারতীয় কৃষক শ্রমিক মহাসমিতির কাছাড় জেলা কমিটির ব্যানারে তাঁরা ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে এসে জমায়েত হন। সেখান থেকে মিছিলে শহর পরিক্রমা করে জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান। বাগান শ্রমিকদের অভিযোগ, বঞ্চনার বিরুদ্ধে মুখ খুললেই মাওবাদী বলে অভিযুক্ত করা হয়। অস্থায়ী দেখিয়ে শ্রমিকদের থাকার জায়গা দেওয়া হচ্ছে না। আবার বাগানের ফাঁকা জায়গায় ঘর বানালে চাকরি থেকে ছাটাই করা হচ্ছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, ত্রিশ বছর ধরে কাজ করেও অনিয়মিত রেশন, নেই কোয়ার্টার। শ্রমিকদের গরু ধরে ফাইন নেওয়া হয় পাঁচশ টাকা।
বাসন্তি জুরিয়া, বিঙ্গু প্রজারা অভিযোগ করেন, কমলেশ সিংহ শ্রমিকদের সভা-সমিতিও করতে দেন না। চিবিটাবিচিয়া থেকে মাছঘাট পর্যন্ত রাস্তা খোলার কথা বললেও শায়েস্তা করার হুমকি দেন। রেশন নিয়ে কথা বললে লোক লাগিয়ে মারধর করেন ডিরেক্টর।
ভারতীয় কৃষক শ্রমিক মহাসমিতির কাছাড় জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রীপদ ধর জানান, রতনপুর বাগানের শ্রমিকদের ন্যায্য আদায়ে তাঁর সংগঠন আগামীতে বড় ধরনের আন্দোলনে নামবে।
এ ব্যাপারে কমলেশ সিংহের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আন্দোলনকারীরা সমাজবিরোধী। অনেকের বিরুদ্ধে মাওবাদী কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে।’’ এমনকী মহাসমিতির নেতা শ্রীপদ ধরের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগে তদন্ত চলছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। কমলেশবাবু তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগগুলি পুরোপুরি নস্যাৎ করেন।