গুন্টুরে কৃষকদের রোখার চেষ্টা পুলিশের। ছবি: পিটিআই।
অন্ধ্রপ্রদেশ বিকেন্দ্রীকরণ বিল ঘিরে শাসক বিরোধী বিক্ষোভ চরমে আকার ধারণ করল। বিলটির বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছিলেন তেলুগু দেশম পার্টি(টিডিপি)-সহ অন্যান্য বিরোধী দলের নেতারা। সেখানে জগনমোহন সরকারের পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে তাঁদের। তাতে বেশ কয়েক জন গুরুতর জখম হন। ওই বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় টিডিপি সাংসদ জয়দেব গাল্লাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে। সোমবার রাতেই মঙ্গলগিরির ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তোলা হয় জয়দেবকে। সেখানে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন ম্যাজিষ্ট্রেট।
বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও সোমবার রাতে রাজ্য বিধানসভায় অন্ধ্রপ্রদেশ বিকেন্দ্রীকরণ এবং সর্বব্যাপী উন্নয়ন বিল পাশ করিয়ে নেয় জগনমোহন রেড্ডির সরকার। উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে অমরাবতী, বিশাখাপত্তনম এবং কুরনুল এই তিনটি শহরকেই রাজধানী ঘোষণা করার কথা বলা হয় ওই বিলে। শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছিল টিডিপি। কিন্তু তাদের আপত্তি উড়িয়ে সংখ্যার জোরে ওই বিল পাশ করিয়ে নেয় জগন সরকার। এর পরেই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন টিডিপি নেতা ও সমর্থকেরা।
শুধু টিডিপি সমর্থকেরাই নন, রাস্তায় নেমে আসে বিভিন্ন কৃষক সংগঠন এবং মহিলারাও। মন্দাদাম, ভেলগাপুডি, টুল্লুরু-সহ একাধিক জায়গা থেকে জনা ৮০০ মানুষ এসে হাজির হন বিধানভবনের বাইরে। নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন তাঁরা। তাঁদের নিরস্ত করতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের উন্নয়নকে নিম্নমুখী করছে ভারতের আর্থিক ঝিমুনি, মত আইএমএফের
আরও পড়ুন: ১০০ কোটির হেরোইন উদ্ধার পাইকপাড়ায়, পুলিশের জালে দুই
বিধানসভার বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ করে বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান টিডিপি প্রধান চন্দ্রশেখর নায়ডু। তবে নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে তা বিধানসভার অধিবেশনে কোনও বিঘ্ন ঘটাতে পারেনি। জগনের বক্তৃতা চলাকালীন বিধানসভায় স্লোগান দিতে শুরু করেন টিডিপি বিধায়করা।শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাঁদের মধ্য থেকে ১৭ জনকে সাসপেন্ড করা হয়।
ক্ষমতায় থাকাকালীন অমরাবতীকে রাজধানী হিসাবে সাজাতে চেয়েছিলেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। তার জন্য কৃষকদের কাছ থেকে জমিও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনটি রাজধানী হলে, অমরাবতী তেমন গুরুত্ব পাবে না বলে অভিযোগ টিডিপির।