প্রতীকী ছবি।
ভারতে করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা হু-হু করে বেড়ে চলেছে। তাই আগের বছরের মত এই বছরে আবারও ‘রিমোট ওয়ার্কিং মডেল’ বেছে নিতে কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে চাপ দিচ্ছে সরকার। সারা দেশে বেশ কয়েকটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান বাড়ি থেকে কাজ (ওয়ার্ক ফ্রম হোম) শুরু করেছে।
অন্যতম বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) সংস্থা কগনিজ্যান্ট থেকে শুরু করে অ্যামাজন এবং ফ্লিপকার্টও নিজেদের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার অনুরোধ করেছে। টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (টিসিএস) সহ বেশিরভাগ আইটি সংস্থাগুলি এর আগে জানুয়ারি থেকে ৫০-৭০ শতাংশ কর্মীদের নিয়ে অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে নতুন করোনার রূপের অত্যন্ত সংক্রমণযোগ্য প্রকৃতি সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছে। সংস্থাগুলি দিল্লি-সহ বিভিন্ন রাজ্যে কর্মীদের জন্য ফের ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ মডেল প্রয়োগ করেছে।
দেশের বৃহত্তম আইটি সংস্থা টিসিএস গত মাসে জানিয়েছিল যে, তাদের ৯০ শতাংশ কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করছে।
এইচসিএল টেকনোলজিস আগে উল্লেখ করেছিল যে, তারা নিজেদের কর্মীদের অফিসে ফিরে আসার আগে ওমিক্রন রূপের উত্থান এবং প্রভাব পর্যবেক্ষণ করা চালিয়ে যাবে।
দেশের পরিবর্তিত কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, আপাতত ওয়ার্ক ফ্রম হোম পদ্ধতি চালিয়ে যাবে ইনফোসিসও।
ইতিমধ্যেই, দিল্লি জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (ডিডিএমএ) ১১ জানুয়ারি নিজেদের সংশোধিত নির্দেশিকাতে জানিয়েছে যে, কয়েকটি ছাড়া বেশির ভাগ বেসরকারি অফিস অবিলম্বে কার্যকর হবে। প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি দেওয়া সংস্থাগুলিকেও অফিস পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়া হবে। ভাইরাসের বিস্তার রোধে বাকি সংস্থাগুলির কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর সুবিধা দেওয়া হবে।