সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গাঁধী। ফাইল চিত্র
বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার ‘খোঁচা’ খেয়ে গর্জে উঠলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। নড্ডার উদ্দেশে সাংবাদিক বৈঠকে তাচ্ছিল্যের ভঙ্গিতে রাহুলের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘উনি কে? আমি ওঁর প্রশ্নের উত্তর দেব কেন?’’
সীমান্ত পেরিয়ে অরুণাচল প্রদেশের একটি অংশ দখল করে চিনের গ্রাম তৈরি করার খবর নিয়ে সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন রাহুল। তার প্রেক্ষিতেই মোদী সরকারের হয়ে ব্যাট ধরে রাহুলকে নিশানা করেন বিজেপি সভাপতি। রাহুলকে কটাক্ষ করে তাঁর উদ্দেশে একগুচ্ছ প্রশ্ন ছুড়ে দেন নড্ডা। বলেন, ‘‘এখন রাহুল গাঁধী ছুটি কাটিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন। আমি ওঁকে কতগুলি প্রশ্ন করতে চাই। আমার আশা, উনি আজকের সাংবাদিক বৈঠকে এগুলির উত্তর দেবেন।’’ এর পরেই নড্ডার প্রশ্ন, ‘‘আর কত দিন রাহুল গাঁধী, তাঁর বংশ এবং কংগ্রেস-চিন নিয়ে মিথ্যা বলে যাবেন? উনি কি অস্বীকার করতে পারেন, যে অরুণাচল প্রদেশের কথা উনি বলছেন, তার কয়েক হাজার কিলোমিটার এলাকা চিনকে উপহার দিয়েছিলেন পণ্ডিত নেহরু? কংগ্রেস কেন চিনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল?’’ এ নিয়ে রাহুল দ্বিচারিতা করছেন বলেও অভিযোগ তোলেন নড্ডা।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে নড্ডার প্রশ্ন নিয়ে দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন রাহুল। ঝাঁঝালো সুরে বলেন, ‘‘উনি কে, যে ওঁর প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে? উনি কি আমার অধ্যাপক?’’
এখানেই থামেননি রাহুল। বিজেপিকে শাণিত ভাষায় তাঁর আক্রমণ, ‘‘কৃষকরা বাস্তব জানেন। প্রত্যেক কৃষকই জানেন যে রাহুল গাঁধী কাজ করে। ভাট্টা-পড়সৌলে নড্ডাজি যাননি। আমার একটা চরিত্র আছে। আমি নরেন্দ্র মোদী অথবা অন্য কাউকে ভয় পাই না। আমি এক জন দেশপ্রেমিক। আমি আমার দেশকে রক্ষা করব। এটাই আমার ধর্ম।’’ প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে জমি অধিগ্রহণকে ঘিরে আন্দোলনে উত্তাল ছিল উত্তরপ্রদেশের ভাট্টা-পড়সৌল। সেখানে গিয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন রাহুল।