সফল পরীক্ষা নাগের। ছবি: প্রসার ভারতীর টুইটার হ্যান্ডল থেকে সংগৃহীত।
শত্রুপক্ষের ঘুম ছোটাতে খুব শীঘ্র ভারতের হাতে উঠছে ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র ‘নাগ’। রবিবার রাজস্থানের পোখরান ফায়ারিং রেঞ্জে এই ক্ষেপণাস্ত্রের তিনটি সফল পরীক্ষা করেছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)। মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় এই তিনটি পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে ডিআরডিও-র তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এ দিন ডিআরডিও-র বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাতের অন্ধকারে এবং দিনের আলোয় এই পরীক্ষা করা হয়েছে রবিবার। তিনটি পরীক্ষাই সফল হয়েছে।’ সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নাগের অন্তর্ভুক্তি একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা যাচাই করে দেখতে সোমবারও একদফা পরীক্ষার কথা ছিল, তবে সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য দেয়নি ডিআরডিও।
গত বছর প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কেনাবেচার দায়িত্বে থাকা ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল সেনাবাহিনীতে নাগ ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির(নেমিস)অন্তর্ভুক্তিতে সায় দেয়। ডিআরডিও-ই এই ক্ষেপণাস্ত্রের নকশা এবং নির্মাণ করে। তাতে লঞ্চপ্যাড থেকে প্রতিপক্ষের ট্যাঙ্কে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্রবাহী যান রয়েছে। সেগুলি হাতে পেতে খরচ পড়ছে ৫২৪ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: গরু পাচারের অভিযোগ, বেঁধে, কান ধরে বসিয়ে বেধড়ক মার ২৪ জনকে
দিনের আলোয় হোক বা রাতের অন্ধকারে, লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। মাটি এবং আকাশ, দু’জায়গা থেকেই ছোড়া যায় নাগ। মাটি থেকে ছুড়লে ৫০০ মিটার থেকে চার কিলোমিটার দূরত্বে থাকা ট্যাঙ্ককে নিমেষে গুঁড়িয়ে দিতে পারে এটি। আবার আকাশ থেকে ছুড়লে সাত থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
আরও পড়ুন: সেতু থেকে ১৫ ফুট নীচে পিছলে পড়ল বাস, যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে মৃত ২৯
১৯৮০ নাগাদ ইন্টেগ্রেটেড মিসাইল ডেভলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় যে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়, নাগ তাদের মধ্যে অন্যতম। এই প্রকল্পের আওতায় বাকি ক্ষেপণাস্ত্রগুলি হল অগ্নি, পৃথ্বী, আকাশ এবং ত্রিশূল। যার মধ্যে অগ্নি, পৃথ্বী এবং আকাশ ইতিমধ্যেই সেনার হাতে পৌঁছেছে। মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় ত্রিশূল ক্ষেপণাস্ত্রের নির্মাণ।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।