মন্দিরে পরিদর্শনে গিয়েছেন জেলাশাসক। ছবি: সংগৃহীত।
সহকারীকে জুতো তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বিতর্কে এক জেলাশাসক। মন্দির পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। ঢোকার আগে মন্দিরের সামনে জুতো খোলেন। তার পর সেই জুতো তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইশারা করেন তাঁর সহকারীকে। আর ঘটনাই জেলাশাসকের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। ঘটনাটি তামিলনাড়ুর কাল্লাকুরিচি জেলার।
মঙ্গলবার জেলার উলুনদুরপেত্তাইয়ে গিয়েছিলেন জেলাশাসক শ্রবণ কুমার। সেখানে কুভাগাম কুথানদাবার নামে একটি উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আয়োজন কতটা হয়েছে, তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন জেলাশাসক। জেলার শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তা আয়োজন দেখতে আসছেন, এই খবর ছড়িয়ে পড়েছিল উলুনদুরপেত্তাইয়ে। বহু মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন।
গ্রামে পৌঁছে জেলাশাসক মন্দিরে গিয়েছিলেন। সেখানে ঢোকার আগে নিজের জুতোজোড়া খুলে বাইরে রেখেছিলেন। মন্দিরে ঢোকার আগে সহকারীকে ডাকেন। অভিযোগ, ইশারায় সহকারীকে জুতো সরিয়ে রাখতে নির্দেশ দেন জেলাশাসক। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পরই জেলাশাসকের আচরণ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন নেটাগরিকরা। এক জন প্রশাসনিক শীর্ষ কর্তা হয়েও কী ভাবে এক অধস্তন কর্মীকে দিয়ে জুতো তোলালেন, তা নিয়ে কটাক্ষের মুখে পড়েছেন জেলাশাসক।
তাঁকে ঘিরে যখন হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে যখন জোর সমালোচনা চলছে, সেই সময় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের কাছে জেলাশাসক দাবি করেন, তিনি সহকারীকে জুতো তুলে নিয়ে যেতে কোনও নির্দেশ দেননি। ভিডিয়োটি এডিট করে ছাড়া হয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, এই ঘটনার ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে দাবি জেলাশাসকের।