১৯ বছরের পাত্রীাকে বিয়ে দলিত বিধায়কের। ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া।
তামিলনাড়ুর কাল্লাকুরিচি-র বিধায়ক প্রভু। ৩৬ বছরের এই দলিত বিধায়ক লকডাউনে প্রেমে পড়েন সেখানকার পুরোহিতের মেয়ের। ১৯ বছরের সেই ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন তিনি। সেই ঘটনা সামনে আসতেই বিতর্ক ছড়িয়েছে। ওই পুরোহিতের অভিযোগ, মেয়ে যখন নাবালিকা ছিল তখন এই সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এডিএমকে বিধায়ক ভুলিয়ে তাঁর মেয়েকে বিয়ে করেছেন বলেও অভিোগ ওই পুরোহিতের। এর সুরাহা না হলে আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েছেন তিনি। তাঁকে বিরত করতে পুলিশ আলাপ আলোচনা চালাচ্ছে। তবে আত্মহত্যার হুমকি দেওয়ার জন্য পুলিশ একটি মামলাও রুজু করেছে।
মন্দিরের পুরোহিত ও পাত্রীর বাবা স্বামীনাথনের দাবি, এই বিয়ের বিরোধিতা করছেন বিধায়ক পাত্র ও পাত্রীর বয়সের পার্থক্যের জন্য। তিনি বলেছেন, ‘‘জাতের জন্য নয়, পাত্র-পাত্রীর বয়সের পার্থক্য নিয়েই আমার আপত্তি।’’
বিধায়কের বক্তব্য, চার মাস ধরে তাঁদের মধ্যে প্রেম গড়ে উঠেছে। সে জন্যই বিয়ে করার পথে হেঁটেছেন তাঁরা। তিনি পাত্রীর পরিবারের কাছে অনুমতি চাইতে গিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন। কিন্তু পাত্রীর পরিবার তাতে রাজি ছিল না। এই সপ্তাহে নিজের পরিবারের লোকের উপস্থিতিতে ১৯ বছরের পাত্রীকে বিয়ে করেন তিনি। তার পরই শ্বশুরের আপত্তি। যদিও এই সমস্যা মিটে যাবে বলেও আশাবাদী তিনি।
এ ব্যাপারে এডিএমকে-র বিধায়ক বলেছেন, ‘‘জীবনের ৩০ বছর বয়স অবধি রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। আমার পরিবার যখন পাত্রী ঠিক করেছিল, তখন আম্মা (তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা) মারা যান। তাই আর বিয়ে করা হয়নি। লকডাউনে ওর সঙ্গে আমার যোগাযোগ গড়ে ওঠে। আমরা একে অপরের প্রেমে পড়েছিলাম।’’
আরও পড়ুন: ইস্ট-ওয়েস্টে মঞ্জুর ৮৫৭৫ কোটি টাকা
তাঁদের বিয়ে নিয়ে শ্বশুরমশাইয়ের আপত্তি মিটে যাবে বলে আশাও করেছেন ওই বিধায়ক। তিনি বলেছেন, ‘‘স্ত্রীয়ের বাবা আমাকে অনেকদিন ধরে চেনেন। আমার সাফল্যের জন্য কামনাও করেছেন তিনি। আমাকে নিজের হাতে খাইয়েওছেন। আমার মনে হচ্ছে কোনও রাজনৈতিক শক্তি তাঁকে আমার বিরুদ্ধে পরিচালিত করছে।’’ যদিও রাজনীতিকে ব্যক্তিগত জীবন থেকে আলাদা রাখার পথেই হাঁটার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘আমি এই দু’টোকে মিলিয়ে ফেলতে চাই না।’’
আরও পড়ুন: কোয়াডেও চিন নিয়ে নরম বিদেশ মন্ত্রক