স্টারলাইট
করোনা সঙ্কটে দেশে অক্সিজেনের তীব্র ঘাটতির মুখে তুতিকোরিনের স্টারলাইট তামা কারখানাকে শুধুমাত্র অক্সিজেন উৎপাদনের জন্য খোলার অনুমতি দিল তামিলনাড়ু সরকার। দূষণের অভিযোগ তুলে স্থানীয়দের বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের জেরে ২০১৮ সালে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বেদান্ত গোষ্ঠীর এই কারখানাটি। পুলিশের গুলিতে সেই সময়ে মৃত্যু হয়েছিল ১৭ জন বিভোক্ষকারীর। সরকার আজ জানিয়েছে, রাজ্যে অক্সিজেনের ব্যাপক চাহিদা সামাল দিতে আগামী চার মাসের জন্য খোলা হবে স্টারলাইট। তবে কারাখানাটিতে তামা বা তামাজাত কোনও দ্রব্য উৎপাদন নিষিদ্ধই থাকবে। সরকার-নিযুক্ত একটি প্যানেল এটির কাজকর্মে নজরদারি চালাবে। যেখানে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের পাশাপাশি থাকবে পরিবেশ বিশেষজ্ঞরাও।
করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য ও দেশে অক্সিজেনের গুরুতর সঙ্কটের কারণে বেদান্ত গোষ্ঠী সম্প্রতি তামিলনাড়ু সরকার ও সুপ্রিম কোর্টের কাছে স্টারলাইট কারখানা খুলে অক্সিজেন উৎপাদনের অনুমতি চায়। বেদান্ত কর্তৃপক্ষ জানান, এই কারখানায় এক হাজার টন অক্সিজেন উৎপাদনের মতো পরিকাঠামো রয়েছে। রাজ্যের কাছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তোলে, তামিলনাড়ু সরকার কেন নিজেই এই কারখানা অধিগ্রহণ করে সেখানে অক্সিজেন তৈরি করছে না? আজ তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ই পলানীস্বামীর নেতৃত্বে এক সর্বদলীয় বৈঠক স্টারলাইট তামা কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরের পরে আজ দুবাই থেকে সাতটি খালি অক্সিজেন কন্টেনার আনার জন্য বিমান পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুবাইয়ে পৌঁছে গিয়েছে সেনার সি-১৭ বিমান। ভারতকে ইতিমধ্যেই অক্সিজেন ও ভেন্টিলেটর পাঠিয়ে সাহায্য করেছে ব্রিটেন। প্রথম দফায় ৪৯৫টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর এবং ১২টি নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেটর ও ২০টি ম্যানুয়াল ভেন্টিলেটর আগামিকালের মধ্যে পৌঁছবে দেশে। অস্ট্রেলিয়াও আজ ভারতকে অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর ও অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়া থেকে কোনও ভ্যাকসিন এ দেশে পাঠানো হচ্ছে না। ভেন্টিলেটর পাঠিয়ে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে ফ্রান্সও।