প্রাথমিকের পড়ুয়াদের সঙ্গে বসে প্রাতরাশ সারছেন মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন। ছবি: মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনের এক্স হ্যান্ডল থেকে।
তামিলনাড়ুতে বিনামূল্যে প্রাতরাশ প্রকল্প এখন আরও বড়। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন নিজে খুদে পড়ুয়াদের খাবার পরিবেশন করে ‘মুখ্যমন্ত্রী প্রাতরাশ প্রকল্প’-র বৃহত্তর সংস্করণের আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, নাগাপাট্টিনাম জেলার থিরুক্কুভালাইয়ের একটি স্কুলে খুদে পড়ুয়াদের খাবার বেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী নিজেও মেঝেতে বসে পড়ুয়াদের সঙ্গেই প্রাতরাশ সারছেন।
প্রাথমিকের পড়ুয়াদের স্কুলে প্রাতরাশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন স্ট্যালিন। প্রাথমিক ভাবে রাজ্যের ১,৫৪৫টি সরকারি প্রাথমিক স্কুলকে এ জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। তাতে এক লক্ষ ১৪ হাজার প্রাথমিক পড়ুয়াকে প্রাতরাশ দেওয়া হচ্ছিল। সরকারি সমীক্ষায় প্রকাশ, প্রাতরাশ দেওয়ার পর স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তার পরেই এই প্রকল্পকে আরও ব্যাপক ভাবে রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্ট্যালিন মন্ত্রিসভা। গত ৭ জুন এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি হয়। শুক্রবার তার সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন। এ বার থেকে রাজ্যের ৩১ হাজার সরকারি প্রাথমিক স্কুলেই ১৫ লক্ষ ৭৫ হাজার পড়ুয়া প্রতিদিন প্রাতরাশ পাবে। এ জন্য রাজ্য সরকার ৪০৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
এই প্রকল্পের সূচনার জন্য থিরুক্কুভালাইয়ের স্কুলটি বেছে নেওয়ার পিছনে রয়েছে কাহিনি। এই স্কুলেরই ছাত্র ছিলেন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধি। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনের বাবা। সেই স্কুল থেকেই ছোটদের পুষ্টিকর খাদ্য প্রদানের কর্মসূচির সূচনার রাজনৈতিক তাৎপর্যও বিপুল। তামিলনাড়ুতে শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার রীতি দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করে এসেছে। ১৯২১ সালে জাস্টিস পার্টি মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির চেন্নাইয়ে দুপুরের খাবার দেওয়ার প্রকল্প আরম্ভ করে। তার পর থেকে কামরাজ, করুণানিধি, এমজিআর এবং জয়ললিতা-সহ নেতা এবং মুখ্যমন্ত্রীরা স্কুলের পড়ুয়াদের বিনামূল্যে পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। সেই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন।