তামিলনাড়ু বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে আন্নামালাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ফাইল ছবি।
তামিলনাড়ু বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে আন্নামালাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করল পুলিশ। হিংসা ছড়ানো, বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতার আবহ তৈরি করার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। রবিবার রাজ্য পুলিশের সাইবার অপরাধদমন শাখা তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে।
বিতর্কের সূত্রপাত আন্নামালাইয়ের একটি টুইটকে কেন্দ্র করে। ওই টুইটে তিনি রাজ্যের শাসকদল ডিএমকে নেতাদের ‘কটাক্ষ’ করেছিলেন। উত্তর ভারতের মানুষদের নিয়ে ডিএমকে নেতাদের ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন আন্নামালাই। অভিযোগ তার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর মামলা করা হয়।
তামিলনাড়ুর বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, তিনি ধর্ম, জাতি, ভাষার ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে বৈষম্য এবং ঘৃণার অনুভূতি ছড়িয়েছেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির প্রাসঙ্গিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আন্নামালাই। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা অভিযোগ’ এনেছে। পাশাপাশি, মামলা রুজুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এম কে স্ট্যালিনের সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। নির্দ্বিধায় জানিয়েছেন, ক্ষমতা থাকলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে দেখাক। আন্নামালাইয়ের টুইট, ‘‘তোমরা মনে করেছ, কারও বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করতে পারবে। একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে আমি তোমাদের চ্যালেঞ্জ করছি, ক্ষমতা থাকলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাকে গ্রেফতার করে দেখাও।’’ শাসকদলকে ‘ফ্যাসিবাদি’ আখ্যাও দিয়েছেন তিনি।
একটি ভিডিয়োও টুইট করেছেন আন্নামালাই, যেখানে দেখা গিয়েছে, জনৈক ডিএমকে নেতা জনসভায় তামিলনাড়ুতে বিজেপির রাজনৈতিক পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করছেন। হিন্দিভাষীদের রাজ্যে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়ে উত্তর ভারতীয়দের প্রভাব তাঁরা বিস্তার করাতে চাইছেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন শাসকদলের ওই নেতা। সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে আন্নামালাইয়ের দাবি, সাত দশক ধরে ডিএমকে দলের নেতারা উত্তর ভারতীয়দের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে আসছেন। তাঁদের সেই কৌশল তিনি ফাঁস করে দিয়েছেন বলেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
বিজেপির দাবি, তামিলনাড়ুতে কর্মরত উত্তর ভারতীয়দের মধ্যে অস্তিত্ব সঙ্কটের আতঙ্ক তৈরি করেছে স্ট্যালিনের দল। এ বিষয়ে সমাজমাধ্যমেও একাধিক ভুয়ো পোস্ট ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খুলেই প্রশাসনের কোপের মুখে পড়তে হয়েছে আন্নামালাইকে।