TIPRA Motha

পদ চাই না, জনজাতিদের অধিকার নিয়ে বিজেপির সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি: হিমন্তকে প্রদ্যোৎ

ত্রিপুরা রাজপরিবারের সদস্য প্রদ্যোৎকে আলোচনার টেবিলে আনার জন্য সক্রিয় হয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তবে প্রদ্যোৎ আলোচনায় বসার জন্য বেশ কিছু শর্তও দিয়েছেন বিজেপিকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আগরতলা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৩ ১৮:০৮
Share:

নির্দিষ্ট শর্তে বিজেপির সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি প্রদ্যোৎ। ফাইল চিত্র।

ভোটের আগে জানিয়েছিলেন, কোনও পরিস্থিতিতেই বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়বেন না। তবে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের ফলে চমক দেখানোর পর বিজেপির সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হলেন তিপ্রা মথার প্রধান প্রদ্যোৎবিক্রম মানিক্য দেব বর্মণ। আলোচনায় বসার প্রস্তাব অবশ্য এসেছিল বিজেপির দিক থেকেই। ত্রিপুরা রাজপরিবারের সদস্য প্রদ্যোৎকে আলোচনার টেবিলে আনার জন্য সক্রিয় হয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তবে প্রদ্যোৎ আলোচনায় বসার জন্য বেশ কিছু শর্তও দিয়েছেন বিজেপিকে। তিপ্রা মথার প্রধান জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও পদের জন্য আলোচনায় বসতে চান না তিনি। তবে যাঁদের ভোটে তাঁর দল ত্রিপুরায় ১৩টি আসন পেয়েছে, সেই জনজাতিদের অধিকার নিয়ে যে কোনও পরিস্থিতিতে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন প্রদ্যোৎ।

Advertisement

এই প্রসঙ্গে প্রদ্যোৎ বলেন, “আমি শুনেছি হিমন্ত বিশ্বশর্মা আলোচনায় বসতে উদ্যোগী হয়েছেন। সম্মানের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে ডাকলে, আমরা নিশ্চয়ই সেই ডাকে সাড়া দেব। ত্রিপুরার সাংবিধানিক সমাধানই হবে আমাদের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু।” ‘সাংবিধানিক সমাধান’ বলতে তিনি কী বোঝাতে চাইছেন, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন জনজাতি সমাজের ‘মহারাজা’। তাঁর কথায়, “আমরা (জনজাতি) ত্রিপুরার পুরনো মানুষ। যদি কেউ মনে করেন আমাদের অধিকারকে উপেক্ষা করে রাজ্যশাসন করবেন, তবে তিনি বিপদে পড়বেন।” রাজ্যের জনজাতি মানুষদের স্বার্থরক্ষার জন্যই তিনি তিপ্রা মথা তৈরি করেছেন বলে জানান প্রদ্যোৎ।

Advertisement

ত্রিপুরায় এ বার ৪২টি আসনে লড়ে ১৩টিতে জিতেছে তিপ্রা। পেয়েছে ২০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট। জনজাতি এলাকার পাশাপাশি বাঙালি অধ্যুষিত বেশ কিছু আসনেও নজরকাড়া ভোট পেয়েছে তারা। ভোটের ফলপ্রকাশের পরেই কেন্দ্র এবং ত্রিপুরার নতুন বিজেপি সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য প্রদ্যোৎকে আহ্বান জানান হিমন্ত। ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা রাজপরিবারের বংশধর প্রদ্যোতবিক্রম ২০২১ সালের গোড়ায় জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকার রক্ষার দাবিতে তিপ্রা ইন্ডিজেনাস প্রোগ্রেসিভ রিজিওনাল অ্যালায়েন্স বা তিপ্রা মথা দল গড়েছিলেন। পাশে পেয়েছিলেন আশির দশকের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা বিজয় রাঙ্খলকে। দলের জনভিত্তির প্রথম প্রমাণ পাওয়া যায় ২০২১ সালের এপ্রিলে, ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়াস অটোনমাস ডিসট্রিক্ট কাউন্সিল (এডিসি)-এর নির্বাচনে। বিভিন্ন আদিবাসী বা জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষদের নিয়ে তৈরি তিপ্রা মথা এডিসির ১৮টি আসনে জয়লাভ করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement