কমল হাসন। —ফাইল চিত্র।
তাঁর অভিনয় দেখতে প্রেক্ষাগৃহ ভরিয়ে তুললেও, অভিষেক পর্বেই কমল হাসনকে নিরাশ করল রাজনীতি। তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হলেন তিনি। বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে ভোটের ব্যবধান যদিও অত্যন্ত কম। তবে যে উৎসাহ নিয়ে রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন অভিনেতা, তাতে খানিকটা হলেও তাঁকে দমে যেতে হল বলে মনে করছে রাজ্য রাজনৈতিক মহল।
এ বারেই প্রথম নিজে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন কমল। কোয়ম্বত্তূর দক্ষিণ থেকে প্রার্থী হন। সেখানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপি-র বনতি শ্রীনিবাসন। রবিবার ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় বনতির থেকে ১ হাজার ৫০০ ভোটে পিছিয়ে রয়েছেন তিনি। পেশায় আইনজীবী বনতিও এই প্রথম বিধায়ক নির্বাচিত হলেন। ১৯৯৩ সাল থেকে বিজেপি-তে তিনি। এত দিন রাজ্যে বিজেপি-র মহিলা মোর্চার সভাপতি ছিলেন।
তবে প্রথম বার খালি হাতে ফিরতে হলেও, রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার কোনও অভিপ্রায় তাঁর নেই বলেও জানিয়ে দেন কমল। পরাজয়ের পর টুইটারে তিনি লেখেন, ‘তামিলনাড়ুর ঐতিহ্যকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি কোনও রাজনৈতিক স্লোগান নয়। এটা আমাদের স্বপ্ন। তামিলনাড়ুর মাটি ও ভাষা রক্ষায়, সেখানকার মানুষের নিরাপত্তার জন্য আগামী দিনেও মাঠে দাঁড়িয়ে লড়াই চালিয়ে যাব আমরা।’’
রাজ্য রাজনীতির দুই স্তম্ভ, জয়ললিতা এবং এম করুণানিধির অনুপস্থিতিতে এই প্রথম বিধানসভা নির্বাচন হল তামিলনাড়ুতে। ২০১১ সাল থেকে সেখানে বিরোধী দলের ভূমিকায় ছিল ডিএমকে। এমকে স্ট্যালিনের নেতৃত্বে এ বার তারাই জয়ী হয়েছে সেখানে।