প্রতীকী চিত্র
বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই দেশের আনাচ কানাচে প্রায় দশ বছর কাটিয়ে দেওয়া এক আফগান নাগরিককে তার স্বদেশে ফেরত পাঠানোর পরেই গণমাণ্যমে তার আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল তালিবান যোদ্ধা হিসেবে। কাবুলিওয়ালার পেশায় মহারাষ্ট্রের নাগপুরে ঘাঁটি গাড়া সেই আফগান নাগরিক, নুর মহম্মদের তত্ত্বতালাশ শুরু করে সেনা-গোয়েন্দারা (মিলিটারি ইনটেলিজেন্স উইং) ১৯ জন সন্দেহভাজনের খোঁজ পেয়েছিলেন, যারা নুরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছিল।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি চালিয়ে সেই সন্দহভাজনের তালিকা থেকে ইতিমধ্যেই ৭ জনকে আটক করে এ বার জেরা শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে পুণে, নাগপুর, দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে।
তাঁদের অনুমান, কাবুলিওয়ালার চেনা পেশার আড়ালে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন কট্টর মৌলবাদী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছিল নুর মহম্মদ। নুরের গতিবিধি যে সুবিধার নয়, তা প্রথম আঁচ করেছিল নাগপুর-পুলিশ। কিছু দিন নজরদারির পরে নাগপুরের পুলিশই তাকে জেরা শুরু করতেই বোঝা গিয়েছিল ২০১০ সালে মাত্র ছ’মাসের ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে এ দেশে এলেও আফগানিস্তানে ফেরার আর নাম করেনি সে। শেষ পর্যন্ত, গত ২৩ জুন তাকে আফগানিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়। আর দেশে পা রেখেই অগস্টের গোড়ায় গণমাধ্যমে জানিয়ে দেয়— আদতে সে তালিবান যোদ্ধা।