গরুর যত্ন নিন, নির্দেশ নমোর

গরুদের খেয়াল তো রাখতেই হবে। প্রধানমন্ত্রী আজ সেই নির্দেশই দিলেন দলীয় সাংসদদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৯ ০৩:০৮
Share:

গরু দুধ দেয়, ভোটও দেয়।

Advertisement

গরুদের খেয়াল তো রাখতেই হবে। প্রধানমন্ত্রী আজ সেই নির্দেশই দিলেন দলীয় সাংসদদের।

সংসদ চললে ফি-হপ্তায় মঙ্গলবার বিজেপির সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথম সপ্তাহেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের পুত্র আকাশের আচরণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। বিরোধীদের বক্তব্য, সে সব কথা প্রধানমন্ত্রী যেন বেমালুম ভুলে গিয়েছেন। এই সপ্তাহে তাঁর দাওয়াই, মানুষের পাশাপাশি পশুদের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে দলের সাংসদদের। কারণ, বছরের এই সময়েই পশুরা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে।

Advertisement

বিজেপির এক মন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী শুধু গরু নন, মুরগির কথাও বলেছেন। পশু-পাখিরা অসুস্থ হয়ে পড়লে কৃষকদের অনেক ক্ষতি হয়! প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, না-ই বা হল এই পশু-পাখিরা ভোটার। কিন্তু তাদেরও খেয়াল রাখতে হবে। নিজেদের কেন্দ্রে মানবিক বিষয়ে নিরন্তর কাজ করতে হবে সাংসদদের। ২০২৫ সাল পর্যন্ত সরকার সামাজিক ভাবে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আরও বেশি জোর দেবে। যক্ষ্মা, কুষ্ঠ বা অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা ঠেকাতে সাংসদদের ‘মিশন-মোড’-এ কাজ করতে বলেছেন তিনি।’’

বিজেপির এক সূত্রের মতে, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের পিছনে সঙ্ঘ শিবিরেরও চাপ আছে। গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যে রাজ্যে গরুর মৃত্যু হচ্ছে। ‘রাম-নগরী’ অযোধ্যাতেই ৫০ টির বেশি গরুর মৃত্যু হয়েছে। বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে গোমাতা, গোমাতা করে লাফালেও বাস্তবে গরুদের দুর্দশায় বিজেপি সরকারের উপর চটে রয়েছেন সাধু-সন্তরা। অযোধ্যায় রামের অস্থায়ী পুজোস্থলের মহন্ত সত্যেন্দ্র দাস বলেছেন, ‘‘বিধায়ক, সাংসদ ও অফিসারেরা গোশালার অবস্থা জানেন। তা সত্ত্বেও গরুকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।’’

সরযূকুঞ্জ মন্দিরের পুরোহিত যুগল কিশোরও বলেছেন, ‘‘গোশালাগুলিতে পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করছে না স্থানীয় প্রশাসন। প্রতিকূল আবহাওয়ায় খোলা আকাশের নীচে রাখা হচ্ছে গরুদের।’’ জলঘোলা হতে দেখে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কথা বলেছেন গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসার, ব্লক উন্নয়ন অফিসার, পশু অফিসারদের সঙ্গে। আট জনকে সাসপেন্ডও করেছেন।

তবে বিজেপি নেতাদের মতে, প্রধানমন্ত্রী শুধু সাম্প্রতিক সঙ্কট মোকাবিলায় সাংসদদের শামিল করতে চাইছেন না। ভোটে জেতার পর সাংসদেরা পাঁচ বছর নির্বাচনী কেন্দ্রে মুখ দেখান না বলে অভিযোগ আসে। সে কারণেও এই দাওয়াই। এতে সাংসদদের জনপ্রিয়তা বজায় থাকবে, আবার সঙ্ঘও খুশি হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement