—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পশ্চিম দিল্লিতে সিরিয়ার এক শরণার্থী এবং তাঁর ১১ মাসের পুত্রকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছোড়ার অভিযোগ উঠল। রাফাত নামে ওই যুবক এবং তাঁর পুত্রকে সফদরজঙের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ সোমবার এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ৩০ সেপ্টেম্বরের। বিকাশপুরীতে রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্বাস্তুদের হাই কমিশনার (ইউএনএইচসিআর)-এর দফতরের বাইরে গত কয়েক দিন ধরে থাকছেন রাফাত, মারিসা এবং তাঁদের শিশুপুত্র। রাফাত জানিয়েছেন, একটি কল সেন্টারে কাজ করছিলেন তিনি। দিন কয়েক আগে চাকরি হারিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জের আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তিনি সাহায্য করতে অস্বীকার করেন। তার পর বাধ্য হয়েই দফতরের বাইরে থাকতে শুরু করি।’’ সেখানেই অ্যাসিড হামলার ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ।
একটি সংবাদমাধ্যমকে রাফাত জানিয়েছেন, তিনি রাস্তার উপর শিশুপুত্রকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আচমকাই দেখেন, হাতে ক্যান নিয়ে কয়েক জন ছুটে আসছেন। তাঁর দাবি, বিপদ আঁচ করে তিনি পুত্রকে কোলে নিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। তাঁর কথায়, ‘‘আমি পালানোর চেষ্টা করেও খুব বেশি দূর যেতে পারিনি। ওঁরা আমার এবং আমার ছেলের উপর কিছু একটা ছুড়ে দেয়। ত্বকে জ্বালা অনুভব করি। অদ্ভুত একটা গন্ধ পাচ্ছিলাম।’’ রাফাতের আরও দাবি, তাঁকে এবং তাঁর পুত্রকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েক জন অটো চালককে অনুরোধ করলেও কেউ সাড়া দেননি। শেষ পর্যন্ত এক ব্যক্তি নিজের বাইকে চাপিয়ে তাঁদের হাসপাতালে পৌঁছে দেন। রাফাতের স্ত্রী মারিসা জানিয়েছেন, তাঁর শিশুপুত্রের চোখ, গলা, বুকের অংশ অ্যাসিডে পড়ে পুড়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘ওই সময় এক মুহূর্তের জন্য ভেবেছিলাম আমার সন্তানকে হারিয়ে ফেলব। কী করে একটি শিশুর সঙ্গে কেউ এই আচরণ করতে পারে?’’ আক্রান্তের পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।