Haryana Violence

পরশু পর্যন্ত নুহে বন্ধ নেট পরিষেবা, হোটেলে বুলডোজ়ার

গত সোমবার হিংসা ছড়ানোর পরেই ইন্টারনেট পরিষেবা ৫ অগস্ট পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। গত কাল রাতে তার সময়সীমা বাড়িয়ে আগামী পরশু পর্যন্ত করা হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৩ ০৫:২৩
Share:

অশান্ত হরিয়ানা। ছবি: পিটিআই।

হরিয়ানায় হিংসা-দীর্ণ নুহে বুলডোজ়ার চলছেই। জেলা প্রশাসন নুহে আজ একটি হোটেল গুঁড়িয়ে দিয়েছে। অভিযোগ, ওই হোটেল থেকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)-এর মিছিলে ইট ছোড়া হয়েছিল। যদিও ওই হোটেল-মালিকের দাবি, হিংসা চলাকালীন তাঁর হোটেল বন্ধ ছিল। কিন্তু প্রশাসন তাতে কর্ণপাত করছে না। গত ৩১ জুলাই ছ়ড়িয়ে পড়া হিংসার পর থেকে নুহ এবং সংলগ্ন এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ওই পরিষেবা আগামী পরশু পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

Advertisement

নুহের পরিস্থিতি মোটের উপর শান্তিপূর্ণ। প্রশাসনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জেলায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ইন্টারনেট পরিষেবা আগামী ৮ অগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। বাল্ক মেসেজও করা যাবে না। হরিয়ানার পালওয়াল জেলায় আগামী ৭ অগস্টের বিকাল ৫টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। গত সোমবার হিংসা ছড়ানোর পরেই ইন্টারনেট পরিষেবা ৫ অগস্ট পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। গত কাল রাতে তার সময়সীমা বাড়িয়ে আগামী পরশু পর্যন্ত করা হয়।

ভিএইচপি-র মিছিলকে কেন্দ্র করে গত ৩১ জুলাই উত্তপ্ত হয়ে উঠে হরিয়ানার নুহ। দু’পক্ষের সংঘর্ষে এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পরবর্তী সময় সংলগ্ন এলাকায় ছড়িয়ে পডেছিল ওই হিংসার আগুন। তাতে এখন পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পরেই হরিয়ানা প্রশাসন নুহ জেলার তাওড়ু শহরে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে দখল উচ্ছেদ অভিযান চালায় হরিয়ানা নগরোন্নয়ন দফতর। দাবি করা হয়, বাংলাদেশ থেকে বেআইনি ভাবে আসা অভিবাসীরা বছর তিনেক ধরে প্রায় এক একর জায়গা দখল করে সেখানে ছিলেন। তাওড়ুরের ঝুপড়িবাসীদের একাংশ ভিএইচপি-র মিছিলে হালমা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ প্রশাসনের। হোটেল ভাঙা নিয়ে প্রশাসনের যুক্তি, ভিএইচপি-র মিছিল চলাকালীন ওই ‘সাহারা হোটেল’-এর ছাদ থেকে ইট ছোড়া হয়েছিল। যদিও হোটেলের মালিক জামশেদের বক্তব্য, ‘‘হোটেল থেকে ইট ছোড়ার যে ভিডিয়ো দেখানো হচ্ছে, সেটি আমার হোটেল নয়। ওই হোটেলটি সোহনায়। আমি তার ভিডিয়োও দেখিয়েছি, কিন্তু আমার কথা কেউ শুনছে না।’’

Advertisement

জামশেদ জানিয়েছেন, ন’বছর ধরে তিনি ওই হোটেল চালাচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘‘যখন গোলমাল শুরু হল, তখন হোটেলের কর্মচারীদের বাড়ি চলে যেতে বলি। হোটেল পুরোপুরি বন্ধ ছিল। আমার হোটেল থেকে কোনও গোলমাল হয়নি। প্রশাসন আমার সঙ্গে অবিচার করছে।’’

নুহ জেলায় এখনও কার্ফু জারি রয়েছে। জেলাশাসক ধীরেন্দ্র খডগাটা জানিয়েছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য আজ সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা কার্ফু শিথিল করা হয়েছিল।

হিংসা-বিধ্বস্ত নুহ শহরে সিপিআই-এর চার সদস্যের প্রতিনিধি দলকে আজ ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। সূত্রের খবর, পুলিশ ১৪৪ ধারার উল্লেখ করে ওই প্রতিনিধি দলকে আটকে দেয়। সিপিআই নেতা বিনয় বিশ্বম বলেন, “গুন্ডা ও দুষ্কৃতীরা স্বাধীন ভাবে যেতে পারে, কিন্তু গণতন্ত্রে যাঁরা বিশ্বাস করেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের আটকানো হয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement