Sushma Swaraj

চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে রাহুলের বৈঠক নিয়ে সুষমার তোপ

রাহুল অবশ্য এই সমালোচনা মানতে নারাজ। তাঁর কথা, এই সঙ্কটময় পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাটা তাঁর কাজের মধ্যেই পড়ে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৭ ১৪:০৫
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

ডোকলাম নিয়ে যখন ভারত-চিনের টানাপড়েন চলছে, সেই সময় দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনায় না বসে চিনা রাষ্ট্রদূত লু ঝাওহুইয়ের সঙ্গে রাহুল গাঁধী বৈঠক করলেন কেন, প্রশ্ন তুললেন সুষমা স্বরাজ।

Advertisement

এই মুহূর্তে ডোকলাম নিয়ে দু’দেশই তাদের অনড় অবস্থানে রয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক স্তরে সব রকম আলোচনা চালানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিছু দিন আগেই চিন সফরে গিয়েছিলেন দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে এখনও বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তার মধ্যেই ডোকলামে ভারতের সেনা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিয়ে মাঝে মাঝে চিনা হুঙ্কার উড়ে আসছে। যখন চিন ভারত সরকারের কোনও কথাতেই কান দিতে চাইছে না এমন অবস্থায় চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের জন্য রাহুলকে তীব্র ভাবে আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।

আরও পড়ুন: মোদীর নীতিই কাশ্মীরে জঙ্গিদের জায়গা করে দিচ্ছে: তীব্র আক্রমণে রাহুল গাঁধী

Advertisement

বৃহস্পতিবার সরকারের বিদেশনীতি নিয়ে রাজ্যসভায় আলোচনার সময় তিনি বলেন, “খারাপ লাগছে এই ভেবে যখন দেখছি বিরোধীরা এ বিষয়ে ভারত সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিকে উপেক্ষা করে চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে বসছে।” সুষমা আরও বলেন, ডোকলাম নিয়ে ভারত সরকারের অবস্থান বিরোধীরা বোঝার চেষ্টা তো করছেই না, উল্টে এ বিষয় চিনের মতামত নিতে দৌড়চ্ছে!

নয়াদিল্লির চিনা দূতাবাস তাদের ওয়েবসাইটে রাহুলের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি প্রকাশ করে গত ৮ জুলাই। পরে অবশ্য সেই খবরটি তুলে নেওয়া হয়। ওয়াবসাইটে প্রকাশিত সেই লেখায় বলা হয়েছিল, “গত ৮ জুলাই লু ঝাউহুই (ভারতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত) কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন। ভারত-চিন সম্পর্ক এবং বাণিজ্য নিয়ে দু’দেশের মধ্যে মত বিনিময় হয়।”

রাহুল অবশ্য এই সমালোচনা মানতে নারাজ। তাঁর কথা, এই সঙ্কটময় পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাটা তাঁর কাজের মধ্যেই পড়ে। তিনি ভুটানের প্রতিনিধি এবং ভারতের প্রাক্তন নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন এবং অন্য আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠকে বসেছিলেন এই বিষয়ে।

আরও পড়ুন: জঙ্গিদের জমি দিচ্ছেন মোদীই: রাহুল

বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় মোদী সরকারের বিদেশনীতি নিয়ে তুমুল হইচই হয়। বিরোধীরা সরকারের বিদেশনীতি নিয়ে আক্রমণাত্মক কৌশল নেয়। আমেরিকা, রাশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া এবং পশ্চিম এশিয়ার ক্ষেত্রে ভারতের বিদেশনীতি অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে। তাদের আরও অভিযোগ, পাকিস্তান নিয়ে সরকার কোনও রোডম্যাপই তৈরি করেনি। এর পর যখন ডোকলামের প্রসঙ্গ নিয়ে সরকারকে আক্রমণ করতে শুরু করে কংগ্রেস, তখনই সুষমা স্বরাজ রাহুলের সঙ্গে চিনা রাষ্ট্রদূতের বিষয়টি নিয়ে পাল্টা তোপ দাগেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement