সুষমা স্বরাজ। ফাইল চিত্র।
বিতর্কিত পরিস্থিতিতে পাসপোর্ট ইস্যু করে দেওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় মারাত্মক ট্রোলিংয়ের শিকার হন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এবার সেই ট্রোলিংয়ের জবাব তিনি দিলেন সোশ্যাল মিডিয়াতেই। এবং তা টুইটার পোলের মাধ্যমে। সুষমা নিজেই টুইটারে ভোটাভুটির আয়োজন করেন। লখনউয়ে তনভি শেঠ নামে এক তরুণীকে পাসপোর্ট দেওয়া নিয়েই এই বিতর্কের সূত্রপাত।
ট্রোলিংয়ের শিক্ষা দিতে আপত্তিকর টুইটগুলি লাইক করে এরপর রিটুইট করেন সুষমা। সুষমা টুইটারে লেখেন, ‘বন্ধুরা আমি শেষ কয়েকদিন বেশ কিছু টুইটে লাইক দিয়েছি, আপনারা কি এই ধরনের টুইট সমর্থন করেন?’ এরপর তা রিটুইটের আবেদনও জানান সুষমা। টুইটারে ভোটের মাধ্যমে ‘হ্যাঁ’ কিংবা ‘না’ বেছে নিতে বলেন তিনি। প্রায় ২০ হাজার মানুষ প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভোট দেন, পরে সেই সংখ্যা আরও বাড়তে থাকে।
সুষমার স্বামী স্বরাজ কৌশলও আপত্তিকর টুইটের স্ক্রিনশট টুইটারে পোস্ট করেন। একটি টুইটারে আইআইটি দিল্লির এক ইঞ্জিনিয়ার সুষমার স্বামীকে উল্লেখ করে পোস্ট করেছিলেন, ‘কেন সুষমা বাড়ি ফিরলে তাঁকে মারধর করা হয় না। কেনই বা সুষমার মুসলিম তোষণ সহ্য করেন তাঁর স্বামী।’
ভিন ধর্মে বিয়ে। অতএব নাম এবং ধর্ম বদলাতে হবে। নইলে পাসপোর্ট রিনিউ করা যাবে না। পাসপোর্ট রিনিউ করতে আসা তনভি এবং আনাস নামে ওই দম্পতিকে কার্যত এভাবেই হেনস্থা করছিলেন লখনউয়ের এক পাসপোর্ট আধিকারিক। তনভি এবং আনাস সিদ্দিকি এই হেনস্তার পরই নালিশ জানান সুষমাকে। তনভি ‘হিন্দু’ নাম কেন ব্যবহার করছেন, এরকম একটি প্রশ্নও তাঁকে নাকি করা হয়েছিল। এরপরে ওই আধিকারিককে বদলি করে দেওয়া হয়, পাসপোর্ট পেয়ে যান তনভি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ করা হয়, স্বাভাবিক নিয়ম না মেনে কেন দ্রুত পাসপোর্ট দেওয়া হল ওই দম্পতিকে? ওই দম্পতির পাসপোর্টের আবেদনে গোলমাল ছিল বলেও অভিযোগ করা হয়। নজিরবিহীন ট্রোলিংয়ের মুখোমুখি হন বিদেশমন্ত্রী। মারধরের হুমকিও দেওয়া হয় তাঁকে। কংগ্রেসের দাবি, বিজেপির তরফেই আসলে এই ট্রোলগুলি করা হয়েছিল। পুরোটাই সাজানো।
আরও পড়ুন: নাম,ধর্ম বদলাতে বলে হেনস্থা দম্পতিকে, হস্তক্ষেপ সুষমার
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উত্তরাখণ্ডে খাদে বাস, মৃত অন্তত ৩৫
ঘর ভর্তি লাশ! দিল্লিতে উদ্ধার একই পরিবারের ১১ জনের দেহ