লোকসভা ভোট ২০১৯-এ। তার মধ্যে গঙ্গা-যমুনা-গোদাবরী দিয়ে অনেক জল বয়ে যাবে। কিন্তু রাজনীতি এখন যে অবস্থায় রয়েছে, ঠিক সেই অবস্থায় এখনই ভোট হলে কী হতে পারে? তারই একটি সমীক্ষা করেছে এবিপি নিউজ়-সি ভোটার। বৃহস্পতিবার রাতে তা প্রকাশ করা হয়েছে ‘এবিপি নিউজ়’ চ্যানেলে।
গত নির্বাচনে এনডিএ ৩৪১টি আসন পেয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। সমীক্ষা বলছে, এখনই ভোট হলে অন্তত ৬৫টি আসন কমবে তাদের। পেতে পারে ২৭৬টি আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২-এর চেয়ে মাত্র চারটি বেশি। ২০১৪-র নির্বাচনে বিজেপি একা পেয়েছিল ২৮২টি আসন। অর্থাৎ, একক দল হিসেবেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল নরেন্দ্র মোদীর দল। তাই শরিকদের দাবি-দাওয়ার চাপে বড় একটা পড়তে হয়নি তাঁকে। সমীক্ষা বলছে, এখনই ভোট হলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা আর পেতে হবে না বিজেপিকে। বড় জোর ২৪৮টি আসন জিততে পারে তারা।
তবে ইউপিএ-র জন্যও খুব একটা ভাল খবর দিচ্ছে না সমীক্ষা। ২০১৪-য় তারা ৬০টি আসন পেয়েছিল। এ বার সেই সংখ্যা ১১২ হলেও ম্যাজিক সংখ্যা ২৭২-এর ধারে কাছেও তারা যেতে পারছে না। কংগ্রেসের আসন ৪৪ থেকে বেড়ে ৮০ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সরকার গড়তে বিজেপি-বিরোধী অন্য দলগুলির ওপর পুরোপুরি নির্ভর করতে হবে রাহুল গাঁধীর দলকে। এখনই ভোট হলে এই ‘অন্য’ দলগুলি ১৫৫টি আসন ও ৩৬ শতাংশ ভোট পেতে পারে বলে আভাস মিলেছে সমীক্ষায়। এনডিএ পেতে পারে ৩৮ শতাংশ ভোট, ইউপিএ ২৫ শতাংশ।
সমীক্ষা অনুযায়ী লোকসভা ভোটের আগে যে তিন রাজ্যে বিধানসভা ভোট— সেই রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তীসগঢ়ে ভোটের শতাংশে বিজেপিকে টেক্কা দিতে পারে কংগ্রেস। তার ফলে লোকসভা ভোটের আগে বাড়তি অক্সিজেন পেতে পারে রাহুলের দল। এই ধরনের সমীক্ষা যে সব সময়ে মেলে, তা নয়। কিন্তু পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা এমন সমীক্ষার চল রয়েছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বিজেপি-বিরোধী দলগুলির জোট হলে অবশ্য সব অঙ্কই বদলে যেতে পারে।