ছবি: সংগৃহীত।
বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে কোন পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে দুর্নীতির অভিযোগ করা যেতে পারে, তা খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এই বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রক্রিয়া শুরু করবে তারা।
যদি কোনও ব্যক্তি জনসমক্ষে প্রাক্তন অথবা বর্তমান বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেন, তবে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে তা খতিয়ে দেখা হবে, তারও সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া সম্পর্কে শুনানি শুরু করা হবে সুপ্রিম কোর্টে। এ দিন বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বে বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারীর তিন সদস্যের বেঞ্চে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
সম্প্রতি বর্ষীয়ান আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণকে আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এস বোবদের একটি বিখ্যাত ব্র্যান্ডের মোটরবাইকে চড়া ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর টুইটারে প্রশান্ত ভূষণ সুপ্রিম কোর্টের কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে লিখেছিলেন, আদালতের কাজের প্রতি নজর না দিয়ে প্রধান বিচারপতি দামি মোটরবাইকে চড়ছেন। সেই সঙ্গে বোবদের মাথায় কেন হেলমেট নেই, সে প্রশ্নও করেছিলেন প্রশান্ত। এর পরেই আদালত অবমাননার দায়ে পড়েন তিনি। তার আগে ২০০৯ সালে ‘তহেলকা’ পত্রিকায় একটি সাক্ষাৎকারেও বিচারব্যবস্থায় দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন প্রশান্ত। সে সময় তাঁর দাবি ছিল, দেশের ১৬ জন বিচারপতির অর্ধেকই দুর্নীতিগ্রস্ত। ওই মামলাতেও প্রশান্তের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে। তার শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট দু’টি প্রশ্ন তুলেছে। এ দিন শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, “কোন পরিস্থিতিতে এ ধরনের (বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে দুর্নীতি) বিবৃতি দেওয়া যেতে পারে? কোন পরিস্থিতিতে এই রকমের অভিযোগ প্রকাশ্যে করা যায়… এ বিষয়ের স্বপক্ষে যুক্তি শোনার প্রয়োজন রয়েছে আমাদের।”
আরও পড়ুন: আজ থেকে রাজ্যে চালু কোভিড পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
আরও পড়ুন: কোভিডের থেকেও ১০ গুণ বেশি মারাত্মক করোনাভাইরাসের সন্ধান মালয়েশিয়ায়!
আরও পড়ুন: ‘জঙ্গলরাজ’-এর চূড়ায় যোগী রাজ্য, পরপর ধর্ষণ-খুন নিয়ে তোপ রাহুল-প্রিয়ঙ্কার
এই প্রসঙ্গে ১৯৯২ সালের একটি মামলারও উল্লেখ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ওই মামলায় একটি সাংবিধানিক বেঞ্চের হয়ে তৎকালীন বিচারপতি জে এস বর্মা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ভি রামস্বামীর অপসারণের রায়ের পক্ষে সায় দিয়েছিলেন। ওই মামলার রায়ের ফলে এক জন বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলে, তা কী ভাবে মোকাবিলা করা হবে, সে পথ দেখানো হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, জাজেস এনকোয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৬৮ অনুসারে একটি তদন্ত কমিটির সমক্ষে অভিযুক্ত বিচারপতির বক্তব্য শোনার সুযোগ করে দিতে হবে। তবে তদন্ত কমিটির সময়সীমা যথেষ্ট সংক্ষিপ্ত রাখার কথাও বলা হয়েছিল। এ দিন সুপ্রিম কোর্টের পর্ষবেক্ষেণ, ওই রায়টি প্রকাশ্যে বিচারপতিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিপক্ষে কাজ করেছিল।