Supreme Court

বঙ্গে আসন পুনর্বিন্যাস: কমিশনের পক্ষে মত

প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১০টি তফসিলি জাতি, ২টি তফসিলি জনজাতির জন্য সংরক্ষিত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৩ ০৭:২৩
Share:

সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গে তফসিলি জনজাতিদের জনসংখ্যায় ভাগ অনুযায়ী লোকসভা ও বিধানসভায় আসন সংরক্ষণের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় আজ শীর্ষ আদালত নতুন করে আসন পুনর্বিন্যাস কমিশন তৈরির প্রয়োজনের পক্ষে সওয়াল করল।

Advertisement

প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চের মত, তফসিলি জাতি, জনজাতির জনসংখ্যার অনুপাত অনুযায়ী লোকসভা, বিধানসভায় প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকারের আসন পুনর্বিন্যাস কমিশন গঠনের কথা বিবেচনা করা উচিত। এ বিষয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করে আগামিকালের মধ্যেই কেন্দ্রকে কোনও কার্যকর সমাধান বাতলানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

প্রায় ছ’বছর আগে পিআইসিএসএসএ (পাবলিক ইন্টারেস্ট কমিটি ফর শিডিউলিং স্পেসিফিক এরিয়াস) নামের সংগঠন সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করে দাবি তুলেছিল, পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমে আদিবাসী বা তফসিলি জনজাতিদের জনসংখ্যার অনুপাত অনুযায়ী জনপ্রতিনিধিত্ব দিতে হবে। অভিযোগ ছিল, তামাং ও লিম্বু সম্প্রদায়কে তফসিলি জনজাতির তকমা দেওয়া হলেও তাঁদের জনসংখ্যার অনুপাতে জনপ্রতিনিধিত্ব মেলেনি। সাংবিধানিক ও আইনি বাধ্যবাধকতা সত্ত্বেও কেন্দ্র, রাজ্য বা নির্বাচন কমিশন এই কাজে ব্যর্থ। সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে কেন্দ্র, রাজ্য ও কমিশনের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল।

Advertisement

প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় আজ বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১০টি তফসিলি জাতি, ২টি তফসিলি জনজাতির জন্য সংরক্ষিত। রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৬২টি তফসিলি জাতি, ৬৫টি জনজাতির জন্য সংরক্ষিত। আদালতের পক্ষে এ বিষয়ে সরকারকে নির্দেশ জারি করা সম্ভব নয়। আদালত সংসদকেও আইন তৈরি করতে বলতে পারে না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিম— দুই রাজ্যে তফসিলি জাতি, জনজাতির প্রতি ন্যায় সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্র -সহ সকলকে একসঙ্গে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে।

এই মামলায় কেন্দ্রের মূল বক্তব্য ছিল, ২০১১-র পরে আর জনগণনা হয়নি। ২০২১-এর জনগণনা সম্ভব হয়নি কোভিডের জন্য। ফের জনগণনা হলে ২০২৬-এর পরেই আসন পুনর্বিন্যাস কমিশন গঠন করা সম্ভব। প্রধান বিচারপতি আজ বলেছেন, সিকিমের ক্ষেত্রে সংবিধানে ছাড় রয়েছে। ২০০৮-এ শেষ বার আসন পুনর্বিন্যাস কমিশন গঠন হয়েছিল। তার পরে ১৫ বছর কেটে গিয়েছে। ২০০১-এর জনগণনার ভিত্তিতে আসন পুনর্বিন্যাস সম্ভব কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ২০০১-এর জনগণনা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা ছিল ৮ কোটি। তার মধ্যে তফসিলি জনজাতি প্রায় ৪৪ লক্ষ। সিকিমের জনসংখ্যা ছিল ৫ লক্ষ, তার মধ্যে জনজাতি ২০.৬০ শতাংশ। ওই জনগণনাকে ভিত্তি করে সমাধানের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement